Smriti Irani: আজতক জি-টোয়েন্টি কার্যক্রমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতির ইরানিও পৌঁছেছিলেন। এই সময় তিনি নিজের সরকারের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সেই সঙ্গে বিপক্ষ দলের ওপর আক্রমণ শাণাতে ভোলেননি। স্মৃতি ইরানি জি-টোয়েন্টি মহিলাদের ভাগীদারি নিয়ে বলেছেন যে মোদী সরকার এখন মহিলাদের মেনস্ট্রিমের অংশ করেছে। তিনি বলেন যে আগে কখনও গ্রামীণ মহিলা জি-টোয়েন্টির অংশীদার ছিলেন না। কিন্তু আমাদের সরকার গ্রামীণ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি চর্চার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় মহিলারা কোনও অংশে কম নন। তাঁরা যেমন ইসরোর বিজ্ঞানী হতে পারেন, উনি কোনও হোম মেকার কিংবা কোম্পানির সিইও, সাধারণ কর্মী বা সাধারণ মাও হতে পারেন।
তিনি বলেন যে, এর আগে মহিলাদের বিষয়ে চর্চার বিষয় ছিল না। কিন্তু এই সরকার আসার পর তা অনেক কমেছে। আগের সরকার জানত যে খোলা জায়গায় মহিলাদের শৌচালয় থাকলে, শোষণ বেশি হয়। কিন্তু পদক্ষেপ করেনি। এর আগে সময় মহিলারা স্যানিটারি প্যাডও খোলাখুলি চাইতে পারতেন না। এটা আজকের সময়ে মহিলাদের কাছে যা সাধারণ বিষয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মোদী সরকারেরকে ধন্যবাদ জানান যে মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের প্রয়োজনীয় জিনিসকে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছেন। স্মৃতি ইরানি জানান যে ফেব্রুয়ারি ২০২০ করিতে আমরা ২০০০ টাকা পিপিই কিট দেশে ইমপোর্ট করতাম। মে মাস পর্যন্ত পিপি কিট আমাদের দেশে তৈরি হয়ে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিষম পরিস্থিতি এবং কম সময়ে আমাদের দেশ এই সমস্ত কাজ করেছে।
কেন ক্ষেপে যান স্মৃতি ইরানি?
এর জবাবে স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন যে তিনি সংসদে রাগান্বিত ছিলেন না। কিন্তু এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু যেহেতু ক্যামেরার ফ্রেম আমার দিকে ছিল। লোকেরা আমাকে রাগান্বিত দেখতে পায়। সংসদে এমন প্রতিক্রিয়া দিলে জবাব তো দিতে হবে। তিনি জানেন যে, ক্যামেরার পিছনে যদি কোনও ব্যক্তি দুর্ব্যবহার করে, তাহলে বা এমন কোনও শব্দ চয়ন করে, সেটা আমি স্বীকার করতে পারবো না। সেটা আমি মেনে নিতে পারব না। যদি ৭২ বছরের ব্যক্তি ১০০ বছরের মাকে গালি দিতে দেখা যায় এবং আমি ক্যামেরার সামনে বসে থাকি। তাহলে হাসতে হবে, এটা সম্ভব নয়। সংসদ সম্মানিত জায়গা সেখানে মহিলাদের নিয়ে আইন তৈরি হয়। পাশাপাশি তিনি বলেন যে রাস্তায় গলিতেও মহিলাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার কি কেউ করতে পারে।