26 January Republic Day: প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এই দিন দেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধানের জয়ের প্রতীক। কিন্তু ২৬ জানুয়ারিই প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়? এর পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক কারণ। স্কুলে সেটা পড়লেও অনেকে সময়ের সঙ্গে সেটা ভুলে গিয়েছেন, আসুন আরও একবার সেটা দেখে নেওয়া যাক।
১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি লাহোর কংগ্রেসে পূর্ণ স্বরাজের ঘোষণা করা হয়। সেই সময় ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। মহাত্মা গান্ধী এবং অন্যান্য জাতীয় নেতারা এই দিনটিকে স্বাধীনতার শপথ গ্রহণের জন্য বেছে নেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২৬ জানুয়ারি তারিখটির তখন থেকেই একটি বিশেষ মর্যাদা ছিল।
ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দেশের নিজস্ব সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ড. বি. আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধান গ্রহণ করা হয়। ইংরাজিতে যেটা বলা হয় 'অ্যাডপটেড'। কিন্তু এটি কার্যকর বা লাগু করার জন্য ২৬ জানুয়ারিই বেছে নেওয়া হয়। কারণ আগেই বলা হয়েছে, ১৯৩০ সালের এই দিনই পূর্ণ স্বরাজের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারিখটি চিরস্মরণীয় করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি, ভারত একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সেই দিনই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ শপথ নেন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই দিন থেকে প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
প্রতি বছর এই দিনে দিল্লির রাজপথে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারতের সামরিক শক্তি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যকে তুলে ধরা হয়। বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রধান শহরে এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
তাই ২৬ জানুয়ারি শুধুমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবসই নয়, এটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আত্মত্যাগ এবং গণতন্ত্র এবং সংবিধানের শক্তির প্রতীক। এই দিনটিই আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা একটি স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক ভারতের নাগরিক।