Advertisement

Operation Sindoor: রাত ১টায় কেন অপারেশন সিঁদুর চালানো হয়েছিল? রহস্য ফাঁস CDS অনিল চৌহানের

পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়।

অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বড় খোলসা সেনারঅপারেশন সিঁদুর নিয়ে বড় খোলসা সেনার
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 19 Sep 2025,
  • अपडेटेड 10:49 AM IST
  • ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল
  • লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা

পহেলগাঁও হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাত ১টায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন চালানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে যে রাত ১টাতেই কেন এই অপারেশন চালানো হয়েছিল? তার উত্তর দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান। তিনি জানিয়েছেন যে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবেই ৭ মে রাত ১টায় অপারেশন সিঁদুর চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা রোখা।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে ৭ মে-র হামলাটি ভোরের আজান ও নামাজের সময়ের মাঝে করা হয়েছিল। আজান ও নামাজের সময় অপারেশন চালালে অনেক সাধারণ মানুষেরহ জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারত। জেনারেল চৌহান বলেছেন, 'আগে, আমরা বালাকোট অভিযান চালিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের কাছে স্যাটেলাইট ইমেজ ছিল না। কিন্তু রাতের অন্ধকারে প্রমাণ সংগ্রহ করতে অসুবিধা হওয়া সত্ত্বেও এখন আমরা রাত ১টায় (অপারেশন সিঁদুর) যা করেছি, তার দুটি কারণ ছিল - প্রথমত, আমাদের ক্ষমতার উপর আমাদের আস্থা ছিল যে আমরা ছবি তুলতে পারি এবং দ্বিতীয়ত, আমরা সাধারণ মানুষের হতাহতের ঘটনা এড়াতে চেয়েছিলাম। সবচেয়ে ভাল (বিকল্প) হত ভোর সাড়ে ৫টা বা ৬টা। কিন্তু সেটা হল প্রথম আজান বা নামাজের সময়। অনেক বেসামরিক প্রাণহানি হতে পারত। আমরা তা সম্পূর্ণরূপে এড়াতে চেয়েছিলাম।'

৭ মে অপারেশন সিঁদুরের প্রথম হামলা রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে চালানো হয়েছিল। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ আরও উল্লেখ করেন যে অপারেশন সিঁদুর একটি নতুন ধরনের যুদ্ধ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন যে ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধের বিপরীতে, এটি স্থল, আকাশ, সমুদ্র, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেস এবং সাইবার ডোমেইনে লড়াই করা হয়েছিল। যেখানে প্রতিপক্ষকে কেবল স্যাটেলাইট এবং ইলেকট্রনিক ছবি বা গোয়েন্দা তথ্যের সাহায্যে দেখা যেত। জেনারেল চৌহান বলেন, 'এখানে বিজয়ের একটি ম্যাট্রিক্স হল আমাদের আক্রমণের পরিশীলিততা, যা সেখানে প্রদর্শিত হয়েছিল। রাতের বেলায় দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানার জন্য বিশেষ প্রচেষ্টার প্রয়োজন ছিল। অপারেশন সিঁদুরের সময় প্রতিটি তীব্রতায় আমরা পাকিস্তানকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করেছি। উরি ও বালাকোট হামলার সময় আমরা স্থল এবং আকাশ মাধ্যম বেছে নিয়েছিলাম, কিন্তু এই অভিযানে, একটি আশ্চর্যজনক উপাদান ছিল। কারণ আমরা একটি নতুন কৌশল নিয়েছিলাম। যা সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল এবং আমরা যে ক্ষমতা অর্জন করেছি তা ড্রোন ব্যবহার করেছি। যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান চরিত্র এখন সংখ্যা বা আঞ্চলিক দখলের চেয়ে প্রযুক্তি দ্বারা বেশি পরিচালিত হয়।' 

Advertisement

আরও পড়ুন

Read more!
Advertisement
Advertisement