দীর্ঘদিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তা সত্ত্বেও ডিভোর্সের পর স্বামীর থেকে খরপোষ দাবি করায় মহিলাকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী ভরণপোষণ দিতে বাধ্য নন, সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। দিল্লির এক ফ্যামিলি কোর্টের এই রায়ে খুশি পুরুষ অধিকার কর্মীরা। মামলার শুনানি করেন ফ্যামিলি কোর্টের বিচারক নম্রিতা অগরওয়াল। মামলাকারী মহিলার দাবি ছিল, তাঁর স্বামী আইনত এবং নৈতিকভাবে ভরণপোষণ দিতে বাধ্য। কিন্তু তিনি ইচ্ছে করে তা দিচ্ছেন না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত মে মাসেই ওই দম্পতির ডিভোর্স মঞ্জুর হয়েছিল। সেই সময়েই প্রমাণিত হয়েছিল যে, মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। এমনকি তাঁর এক সন্তানের সঙ্গে স্বামীর DNA রিপোর্ট ম্যাচ হয়নি।
আদালত জানায়, মহিলা ডিএনএ রিপোর্ট এবং আগের রায় চ্যালেঞ্জ করেননি। অর্থাৎ, নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা তিনি কার্যত স্বীকারই করে নিয়েছেন। ফলে এমন ক্ষেত্রে স্বামীকে খরপোষ দিতে বাধ্য করা যায় না।
শুধু তাই নয়, ওই মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর শাশুড়িকে খুনের অভিযোগও ওঠে। প্রায় চার বছর জেলে থাকার পর তিনি বেকসুর খালাস পান। তবে সেই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এদিন বিচারক জানান, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫(৪) ধারা অনুযায়ী, কোনও স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত থাকলে, তিনি স্বামীর থেকে কোনও ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী নন।
এছাড়াও আদালতের পর্যবেক্ষণ, বর্তমানে ওই মহিলা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করছেন। তাঁর একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। সেখান থেকে পর্যাপ্ত আয়ও করছেন। সন্তানদের খরচও স্বামীই বহন করছেন। ফলে তাঁকে ভরণপোষণের খরচ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।