নভেম্বর নাগাদ বিহারে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ভোটের আগে NDA ও UPA এর শরিকদলগুলো সিট ভাগাভাগি নিয়ে আকচা আকচি করবে, সেটাই স্বাভাবিক। তার সূত্রপাত করে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি। তাঁর দাবি, NDA জোট যদি তাঁর দল হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (ধর্মনিরপেক্ষ)কে পর্যাপ্ত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেয় তাহলে তাঁরা একাই লড়বেন।
আজ নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন। জানান, তাঁর লক্ষ্য দলকে স্বীকৃতি দেওয়ানো। সেই জন্যই লড়াই করছেন। সেই মর্যাদা পাওয়ার জন্য বিধানসভায় কমপক্ষে ৮ আসন দখল করতে হবে। মোট ভোটের ৬ শতাংশ পেতে হবে। মাঝির দাবি, যদি এনডিএ তাঁকে ১৫টি আসনে লড়তে দেয় তবেই সেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব। কারণ, সব আসনে তো জেতা সম্ভব নয়।
তারপরই হুঁশিয়ারি জিতেন রাম মাঝির। বলেন, 'যদি আমার দলকে সম্মানজনক আসন না দেওয়া হয় তাহলে আমরা নিজেরাই পৃথকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমাদের প্রতি আসনে ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটার রয়েছে। সেই হিসেবে একা লড়লেও ৬ শতাংশ ভোট পাব।' ২০১৫ সালে হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা তৈরি করেন জিতেন রাম। তবে আশানুরূপ জনসমর্থন কোনওদিন পাননি। সেই আক্ষেপও চেপে রাখেননি এই প্রবীণ নেতা। তাঁর কথায়, 'স্বীকৃতী না পাওয়া অসম্মানজনক। এবারের আমাদের ডু অর ডাই।'
মাঝির দাবি, তাঁর দল কোনওসময় টাকা দিয়ে রাজনীতি করে না। সেখানে অন্য দলগুলো টাকার ক্ষমতা দেখায়। ভোট কেনে। মানুষকে অন্যভাবে প্রভাবিত করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মণিপুর সফরের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষের জবাব দেন তিনি। বলেন, 'রাহুল সব সময় বেশি কথা বলেন। মণিপুরে গিয়ে রাহুল কী করতে পেরেছিলেন? সেখানে প্রধানমন্ত্রী ৮০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। খারাপ আবহাওয়ায় জন্য হেলিকপ্টার না যাওয়ায় সড়কপথে জনগণের কাছে পৌঁছেছেন।'