Advertisement

CJI on Stray Dogs: পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিতর্ক, 'খতিয়ে দেখব,' বললেন CJI

বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে পথকুকুর সম্পর্কিত একটি মামলা জরুরি শুনানির জন্য পেশ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে কনফারেন্স ফর হিউম্যান রাইটস (ইন্ডিয়া) নামক একটি সংগঠন এই আবেদনটি দায়ের করেছিল। এই বিষয়ে সিজেআই গাভাই বলেন, 'আমি এটি খতিয়ে দেখব।' সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে আট সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরের সমস্ত এলাকা থেকে পথকুকুর অপসারণ করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত বিশেষ কুকুর আশ্রয়কেন্দ্রে রাখতে হবে।

 পথকুকুর নিয়ে SC রায় বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি পথকুকুর নিয়ে SC রায় বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 13 Aug 2025,
  • अपडेटेड 12:16 PM IST

বুধবার ভারতের প্রধান বিচারপতির সামনে পথকুকুর সম্পর্কিত একটি মামলা জরুরি শুনানির জন্য পেশ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালে কনফারেন্স ফর হিউম্যান রাইটস (ইন্ডিয়া) নামক একটি সংগঠন এই আবেদনটি দায়ের করেছিল। এই বিষয়ে সিজেআই গাভাই বলেন, 'আমি এটি খতিয়ে দেখব।' সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে আট সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-এনসিআরের সমস্ত এলাকা থেকে পথকুকুর অপসারণ করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত বিশেষ কুকুর আশ্রয়কেন্দ্রে রাখতে হবে।

'সমস্ত এলাকা সম্পূর্ণরূপে পথকুকুরমুক্ত করা উচিত'
 বিচারপতি জে.বি. পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর. মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সমস্ত এলাকা সম্পূর্ণরূপে পথকুকুরমুক্ত করতে হবে এবং এতে কোনও আপস করা হবে না। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, যে কুকুর ধরা পড়বে, তাদের আর রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে না। এছাড়াও, আদালত সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা এই অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুরু করা হবে। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, 'যদি কেউ কুকুর ধরা বা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লিতে কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক (RABIES) আতঙ্ক ছড়ায়। কুকুরের কামড়ে আহতও হন বেশ কয়েকজন, আহতদের মধ্যে শিশু ও প্রবীণ নাগরিক বেশি।  সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবন এই মামলা শোনেন এবং সমস্ত পথকুকুরদের দিল্লি-এনসিআর এলাকার আবাসিক অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদি কোনও সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান বাধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলেই নির্দেশে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে এদিন প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেছেন, 'আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।' উল্লেখ্য, পথকুকুরদের নিয়ে এই নির্দেশিকা প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন মহলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। অনেকে এই নির্দেশকে অমানবিক এবং নিষ্ঠুর বলে আখ্যা দিয়েছেন। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে জনরোষ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

Advertisement

বুধবার যখন ভারতের প্রধান বিচারপতির  এজলাসে  পশুদের নিয়মিত বন্ধ্যাকরণ এবং টিকা দেওয়ার জন্য একটি আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেন যে তিনি পথকুকুরের বিষয়টি দেখবেন। তবে, এটি স্পষ্ট হয়নি যে প্রধান বিচারপতি ২০২৪ সালের আবেদনের কথা বলছেন নাকি সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা বলছেন । বুধবার, প্রধান বিচারপতির এজলাসে  ২০২৪ সালের একটি আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে দিল্লির নাগরিক কর্তৃপক্ষ নিয়মিত বন্ধ্যাকরণের কাজ করছে না, যার ফলে কুকুরের কামড়ের ঘটনা ঘটছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই মামলায় একটি নোটিস জারি করা হয়েছিল। আজ যখন আবেদনটি উত্থাপন করা হয়েছিল, তখন আদালত বলেছিল যে এটি বিবেচনা করা হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement