Advertisement

Nagpur Lootery Dulhan: ৮ জনকে বিয়ে করে ৫০ লাখ জালিয়াতি, গ্রেফতার 'লুটেরি দুলহন' সামিরা

প্রেম, বিয়ে, তারপর আইনি হুমকি, এই পন্থায় একে একে আটজন পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল নাগপুর পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সামিরা ফাতিমা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 03 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:33 PM IST
  • প্রেম, বিয়ে, তারপর আইনি হুমকি, এই পন্থায় একে একে আটজন পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল নাগপুর পুলিশ।
  • অভিযুক্তের নাম সামিরা ফাতিমা।

প্রেম, বিয়ে, তারপর আইনি হুমকি, এই পন্থায় একে একে আটজন পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল নাগপুর পুলিশ। অভিযুক্তের নাম সামিরা ফাতিমা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলতেন পুরুষদের
গিট্টিখাদান থানার পুলিশ জানিয়েছে, সামিরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিবাহিত ও মধ্যবয়স্ক পুরুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। নিজেকে ডিভোর্সি বলে পরিচয় দিয়ে ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ হিসেবে থাকার প্রস্তাব দিতেন। তাদের বিশ্বাস জাগিয়ে বিয়ে করতেন। তারপরই শুরু হত মূল নাটক, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি, আদালতের মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি।

২০২৩ সালের অভিযোগে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০২৩ সালের মার্চ মাসে গিট্টিখাদান থানায় গোলাম পাঠান নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগে উঠে আসে সামিরার দীর্ঘ প্রতারণার কাহিনি। পাঠান জানান, ২০১০ সাল থেকে সামিরা অন্তত আটজন পুরুষকে বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবারই একই কৌশলে প্রতারণা করেছেন। তিনি দাবি করেন, সামিরা তার কাছ থেকে সহ মোট ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার যথেষ্ট প্রমাণও তিনি দিয়েছেন।

স্কুল শিক্ষিকা ছদ্মবেশে, ধরা পড়লেন চায়ের দোকানে
গিট্টিখাদান পুলিশ আরও জানিয়েছে, সামিরা এক সময় একজন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন। পলাতক অবস্থায় নাগপুরের সিভিল লাইনস এলাকার একটি চায়ের দোকানে ছদ্মবেশে ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

একই পদ্ধতিতে প্রতারণা, তদন্তে নেমেছে পুলিশ
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতিটি ঘটনায় সামিরার কৌশল ছিল এক। অনলাইনে পুরুষদের সঙ্গে যোগাযোগ, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা, তারপর বিয়ে, এবং শেষে আদালতের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়।

ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সামিরার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও তোলাবাজির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement