India Today Conclave 2025: 'ঔরঙ্গজেব-পন্থী'দের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণ শানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শনিবার মহারাষ্ট্র সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র নেতা আবু আজমি ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করেন। শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। সেই প্রসঙ্গেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, 'ঔরঙ্গজেব এতটাই অত্যাচারী ছিলেন যে, কোনও সভ্য মানুষ তাঁর নামে ছেলের নাম রাখতে পারেন না।'
সম্প্রতি আবু আজমি দাবি করেন, 'ঔরঙ্গজেব মোটেও অত্যাচারী ছিলেন না। তিনি হিন্দুদের জন্য মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।' এই মন্তব্যের পরই মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার তাঁকে পুরো অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ আবু আজমিকে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, 'যারা ঔরঙ্গজেবকে নায়ক মনে করে, আমি তাদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলব। কোনও শিক্ষিত মানুষ ঔরঙ্গজেবকে নায়ক ভাবতে পারে না। কোনও সভ্য মুসলিম ঔরঙ্গজেবের নামে নিজের সন্তানের নাম রাখে না। কারণ, এই মানুষটাই তাঁর নিজের বাবা শাহজাহানকে কারাগারে বন্দি করেছিলেন। এমনকি জল পর্যন্ত দেননি।'
যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, 'শাহজাহান তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, কারও জীবনে এমন সন্তান যেন না হয়, যে তার বাবার জীবনকে নরকে পরিণত করে।'
তিনি আরও বলেন, যারা ঔরঙ্গজেবকে নায়ক মানে, তারা হিন্দুদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। হিন্দুরা শুধু বাবা-মাকে জীবিত অবস্থায় দেখাশোনা করেন না, মৃত্যুর পরও পিতৃ-পুরুষের শান্তির জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ঔরঙ্গজেব কখনই ধর্মীয় সহনশীল ছিলেন না। 'ঔরঙ্গজেবই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ গড়ার জন্য বাবা বিশ্বনাথের ধাম ভেঙেছিলেন। তিনিই মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ধ্বংস করেছিলেন। তিনি হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। তিনি হিন্দুদের উপর জজিয়া কর চাপিয়েছিলেন। লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছিলেন।'
যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, 'যারা ঔরঙ্গজেবকে নায়ক ভাবে, তাদের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই বলি, উত্তরপ্রদেশে এদের জন্য সেরা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। আসুন, আমরা দেখাব কীভাবে এদের চিকিৎসা করতে হয়।'
আবু আজমির এই মন্তব্যের পর মহারাষ্ট্র সরকার এবং বিজেপি তীব্র সমালোচনা শুরু করে। ছত্রপতি শম্ভাজি মহারাজের অপমানের জন্য আবু আজমির ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠে। পরে আবু আজমি বলেন, তাঁকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি কোনওভাবেই শম্ভাজি মহারাজকে অপমান করেননি। তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। এতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
খবরটি ইংরাজিতে পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।