Youtuber Jyoti Malhotra: ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে বড় তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, পাকিস্তানি হ্যান্ডলার এহসান ওরফে দানিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন জ্যোতি। তাঁদের সম্পর্ক যে শুধুই ব্যক্তিগত ছিল না, তার ইঙ্গিতও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দানিশের সঙ্গে সম্ভবত নানা গোপন তথ্য শেয়ার করতেন জ্যোতি। সেই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তবে তা এই কেসে নিঃসন্দেহে একটি বড় মোড় হতে পারে।
তদন্তকারীরা বলছেন, গত দেড় মাস ধরেই দানিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জ্যোতির।
২০২৩ সালে জ্যোতি প্রথমবার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তখনই এহসানের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু ২০২৩-এর নভেম্বর থেকে, তাদের নিয়মিত যোগাযোগ শুরু হয় বলে অভিযোগ।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দানিশ-জ্যোতির মধ্যে নিয়মিত কথা হত।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, গোপন মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদানপ্রদান হত। এমনকি, ২০২৫-এক মার্চ মাসের পর যখন এহসানকে দেশ ছাড়তে বলা হয়, তখনও জ্যোতির সঙ্গে তার সম্ভবত যোগাযোগ ছিল।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্যোতি এবং এহসান কোনও এনক্রিপ্টেড অ্যাপ যেমন সিগন্যাল, টেলিগ্রাম, টিওআর নেটওয়ার্ক ও ভিপিএন ব্যবহার করতেন। তার মাধ্যমেই তাঁদের মধ্যে গোপন চ্যাট গত। এছাড়াও ক্লাউড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ও বিদেশি সিম কার্ড ব্যবহার করতেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের অনুমান, পাকিস্তানের গুপ্তচর নেটওয়ার্কের থেকে জ্যোতির কাছে ভিডিওর স্ক্রিপ্ট, কনটেন্ট ও কূটনৈতিক অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হত। এর পিছনে ভারত-বিরোধী প্রচারের উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।
আপাতত জ্যোতির কাছে এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা—
২০২৩ সালের পাকিস্তান সফরের পিছনে কি আদৌ কন্টেন্ট বা তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্য ছিল? নাকি পুরোটাই কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ?
এহসান ডারের সঙ্গে তার পরিচয় হল কীভাবে?
পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছ থেকে কি আর্থিক বা অন্য কোনও সাহায্য পেতেন জ্যোতি?
পহেলগাঁও হামলার পর জ্যোতি যে ভিডিও বানিয়েছিলেন, সেটা কি তাঁর নিজস্ব ভাবনা থেকেই করা? নাকি তার স্ক্রিপ্ট তাঁকে কেউ পাঠিয়ে দিয়েছিল?
এর পাশাপাশি জ্যোতির চিন, দুবাই, বাংলাদেশ ও ভুটান সফরের খরচই বা কোথা থেকে এসেছিল? সেই প্রশ্নেরও উত্তর খোঁজা হচ্ছে।
জ্যোতির বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তার ভ্রমণ ও নিজের চিন্তাভাবনা নিয়ে অনেককিছু লেখা রয়েছে। দশটি পাতার মধ্যে আটটি ইংরেজিতে, বাকি তিনটি হিন্দিতে লেখা। সেই তিন পাতায় পাকিস্তান সংক্রান্ত লেখা রয়েছে।
ডায়েরি থেকে জানা গিয়েছে, রাত একটা পর্যন্ত তিনি ভিডিও এডিট করতেন। বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সময়ও তিনি সঙ্গে এই ডায়েরি রাখতেন।