অসমের জনপ্রিয় সঙ্গীত কিংবদন্তি জুবিন গর্গের অস্থি আজ, মঙ্গলবার পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জোরহাটে নিয়ে যাওয়া হবে। স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গসহ ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যরা আজ সন্ধ্যায় জোরহাটে পৌঁছাবেন। অসম সরকার পরিবহন থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতার জন্য সমস্ত সহায়তা নিশ্চিত করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে জুবিনের গুয়াহাটির কাহিলিপাড়ার বাড়ি হাজারো শোকাহত ভক্তের সমাগমস্থল হয়ে উঠেছিল। তবে আজ থেকে সেই বাড়ি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিঙ্গাপুর থেকে আসা কফিন এবং তাঁর ব্যক্তিগত সামগ্রী জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জোরহাটে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই আবেগঘন সময়ে রাজ্যের সাংস্কৃতিক মহল ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, জুবিন গর্গের মৃত্যুর কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) তদন্তের দাবিতে রায়জোর দলের সভাপতি ও শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ আজ থেকে গুয়াহাটির চাচালে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছেন। সাংবাদিকদের সামনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'যখন ছোট চোরদের এনকাউন্টার হয়, তখন জুবিন গর্গের মৃত্যুর অভিযুক্তরা কীভাবে ফেসবুক লাইভ করে পুজো উপভোগ করছেন?'
গগৈ অভিযোগ করেন, উত্তর-পূর্ব উৎসবের সঙ্গে জড়িত একটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে একাধিক রাজনৈতিক নেতার যোগসূত্র রয়েছে এবং তিনি ইডি তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি এনএসএ আইনে আটক অজয় ফুকন ও ভিক্টর দাসের মুক্তিও চান তিনি।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, জুবিনের মৃত্যুর পরপরই রিনিকি ভূঁইয়া শর্মার আয়োজিত ফ্যাশন শো কেন চালু ছিল এবং এর সঙ্গে জড়িতদের প্রকাশ্যে ব্যাখ্যা দাবি করেন। গগৈ স্পষ্ট করে বলেন, জুবিন গর্গের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া কখনওই রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না। তিনি ঘোষণা করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা চাচালে এসে সরাসরি জনগণের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত তাঁর অনশন চলবে।
এদিকে, সূত্রের খবর রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য এই বছর দুর্গাপুজার কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না এবং জন্মদিনও পালন করবেন না, রাজ্যের বিষণ্ণ পরিবেশের কথা ভেবে। জুবিন গর্গের অস্থি জোরহাটে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্মৃতিকে ঘিরে আবেগ আরও উচ্ছ্বসিত হবে, আর অখিল গগৈয়ের অনশন রাজনৈতিক অঙ্গনে চাপ তৈরি করবে সরকারের উপর।