জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুতে এখনও শোকস্তব্ধ দেশ। ভূমিপুত্রের শেষকৃত্যে চোখের জল ফেলেছে অসমের আট থেকে আশি। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর চোখের জলও বাঁধ মানেনি। এরইমধ্যে এল খারাপ খবর। জুবিনের শোকে আচ্ছন্ন হয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। ব্রহ্মপুত্রে ঝাঁপ দেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার গুয়াহাটির সারা ঘাট সেতু থেকে সেই যুবক নদীতে ঝাঁপ দেন। তিনি প্রথমে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন। বলতে থাকেন, 'জুবিনদা আর নেই। আমরা কী করব। আমাদের বেঁচে থেকে কী লাভ। জয় জুবিনদা।' তারপরই তিনি জলে ঝাঁপ দেন। ঘটনার খবর যায় পুলিশের কাছে। তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
এদিকে জুবিনের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটির দাতলপাড়া এলাকায় গায়কের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মার বাড়িতে অভিযান চালায় বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সূত্রের খবর, সকাল থেকেই সেই বাড়ির বাইরে সিআইডি অফিসারদের একটি দল উপস্থিত ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। ২০১৯ সাল থেকে ওই বাড়ির এক ফ্ল্যাটে থাকতেন সিদ্ধার্থ।
তবে তল্লাশি অভিযান থেকে কী উদ্ধার হয়েছে তা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি। এদিকে এই খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা গোটা বাড়ি ঘিরে ধরেন। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় সেজন্য সেখানে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রসঙ্গত, জুবিনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। নেপথ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র। এমনই দাবি করেছেন জুবিনের অনুরাগীদের একাংশ। এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানান, 'SIT-এর তদন্তে যদি কোনও ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে মহন্ত ও শর্মার বাসভবনে তল্লাশি চালায় SIT। অসম সরকার ইতিমধ্যেই মহন্ত এবং তাঁর সংগঠনকে রাজ্যে অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।'