
অসমের জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গকে খুন করা হয়েছে। দাবি করলেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যদিও এই মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তবে এই খুনের দাবি সেই রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধান করার ফলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হিমন্ত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'যাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই খুনে অভিযুক্ত। এটা খুন। আমার কাছে নতুন তথ্য নয় এসব। অসম পুলিশও তো খুনের অভিযোগ করেছে বা সেই মোতাবেকই তদন্ত হচ্ছে। যারা জেল হেফাজতে রয়েছে তারা খুনের অভিযোগেই রয়েছে। প্রথম দিন থেকেই এটা পরিষ্কার।'
তবে কেন অসম পুলিশ জুবিনের মৃত্যুকে খুন হিসেবে দেখছে তার কোনও কারণ জানাননি হিমন্ত। বরং প্রশাসন দ্রুত চার্জশিট দাখিলের চেষ্টা করছে এবং আরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হতেল পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, 'জুবিন গর্গের হত্যা মামলার চার্জশিট ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। আমি ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আমরা এখন প্রস্তুত। বিদেশে কোনও ঘটনা ঘটলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদন প্রয়োজন। গতকাল, আমি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছি।'
যদিও এর আগে সিঙ্গাপুর পুলিশ বাহিনি জানিয়েছিল, প্রাথমিক তদন্তে জুবিনের মৃত্যু খুন বলে মনে হয়নি। তবে তাদের আরও সময় প্রয়োজন। প্রায় তিনমাস। এই নিয়ে পৃথক তদন্তও করছে তারা। কিন্তু গায়কের মৃত্যুকে খুনই বলছেন হিমন্ত। ফলে এই ঘটনা অন্য একটি মোড় পেল।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা যান জুবিন গর্গ। তিনি সিঙ্গাপুরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমে রাজ্যজুড়ে ৬০টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করে অসম পুলিশের সিআইডি ও SIT।
গ্রেফতার করা হয় অনুষ্ঠানের সংগঠক শ্যামকানু মহন্ত, গায়কের ঘনিষ্ঠ সিদ্ধার্থ শর্মা এবং তাঁর দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং অমৃত প্রভা মহন্তকে। পরে, গর্গের খুড়তুতো ভাই অসম পুলিশের ডিএসপি সন্দীপন গর্গ, পিএসও নন্দেশ্বর বোরা এবং প্রবীণ বৈশ্যও পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
গ্রেফতার হওয়া সাতজনই এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) বিভিন্ন ধারায় তাদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।