আরও আমেরিকান ও রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অর্জন করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। এরজন্য খরচ হবে 1400 কোটি টাকা। সরকারি স্তরে ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে এই ডিল। সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি এবিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, সমুদ্রে যুদ্ধের জন্য নিজেদের শক্তি আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি দীর্ঘদিন ধরেই নিচ্ছে ভারতীয় নৌ সেনা। তারই অঙ্গ হিসাবে আমেরিকার হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র ও রাশিয়ার KLUB (ক্লুব) ক্ষেপণাস্ত্র কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়। সূত্রের খবর, আমেরিকা ও রাশিয়া থেকে প্রায় 20টি হারপুন ও ক্লুব ক্ষেপণাস্ত্র কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। শীঘ্রই নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে এই মিসাইলগুলি।এটি একটি সর্ব-আবহাওয়া, ওভার-দ্য-হাইজন, অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সিস্টেম। প্রস্তুতকারী সংস্থা বোয়িং-এর মতে সক্রিয় RADAR নির্দেশিকা-সহ এটিতে একটি নিম্ন-স্তরের, সমুদ্র-স্কিমিং CRUZ ট্র্যাজেক্টোরি রয়েছে। হারপুন মিসাইল সিস্টেম অধিগ্রহণের অংশ হিসাবে, ভারত একটি হারপুন জয়েন্ট কমন টেস্ট সেট, একটি রক্ষণাবেক্ষণ স্টেশন, খুচরা ও মেরামতের যন্ত্রাংশ, সমর্থন এবং পরীক্ষার সরঞ্জাম, প্রকাশনা এবং প্রযুক্তিগত ডকুমেন্টেশন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ পাবে। এছাড়াও মার্কিন সরকার এবং ঠিকাদার থেকে সহায়তা পরিষেবাগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৷ যদিও রাশিয়ার klub মিসাইল ভারতীয় নৌবাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছে। যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও সাবমেরিনেও এই মিসাইল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই চিন জলপথে যুদ্ধজাহাজ ও মিসাইল ব্যবহারে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতও নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে রাখতে চায়। কারণ বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ওঠানামা চলছে। চিন ভারতের এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে প্রায়ই এগিয়ে আসার চেষ্টা করে। এমনকী কিছুদিন আগেই অরুণাচলের বিস্তীর্ণ অংশকে দক্ষিণ তিব্বত নাম দিয়ে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি করে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতও। যখনই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় তখনই দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা ফ্ল্যাগ মিটিং করে পরিস্থিতি তখনকার মতো সামাল দিলেও চিরস্থায়ী সমাধান কখনওই হয়নি। তাই আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রেও নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে রাখতে চায় ভারতীয় নৌসেনা।