বৃষ্টি হওয়ার আগে নাকি জানান দেয় জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরের ছাদ থেকে প্রখর রোদেও নাকি টপটপ করে জল পড়ে। আর এটা হলেই আপনি বুঝবেন এবার এই এলাকায় বৃষ্টি হবে। আর আশ্চর্যের বিষয় হল এরপর ওই এলাকায় বৃষ্টি হবেই। আর বৃষ্টি শুরু হলেই আপনা আপনি ওই জগন্নাথ মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়াও বন্ধ হয়ে যায়। এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এই জগন্নাথ মন্দির কোথায় রয়েছে? তাহলে শুনুন, উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহর থেকে 40 কিলোমিটার দূরে ভিতরগাঁও বেহাতার ঘতমপুর এলাকায় রয়েছে এই জগন্নাথ মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে কখন কতটা বৃষ্টি হবে ভারী, মাঝারি, না ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে সব কিছুরই আগাম ইঙ্গিত দেয় এই মন্দির। বৃষ্টি হওয়ার 6-7 দিন আগে থেকেই নাকি এই মন্দিরের ছাদ থেকে জলের ফোঁটা পড়তে শুরু করে। সেই জলের ফোঁটার আকার দেখেই নাকি বোঝা যায় কতটা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি শুরু হলেই আপনা আপনি মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়া বন্ধ হয়ে গেলেও ছাদে কিন্তু কোনও ফাটল নেই। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই এই অবাক করা ঘটনা ঘটে চলেছে ওই মন্দিরে। সেজন্য এই মন্দিরকে স্থানীয় মানুষ RAIN TEMPLE বলেও ডাকেন। মন্দির গঠন অনেকটা বৌদ্ধ মঠের মতো। মন্দিরের দেওয়াল 14 ফুট মোটা। সম্রাট অশোকের আমলে এই মন্দির নির্মিত বলেই মনে করা হচ্ছে। মন্দিরের বাইরে রয়েছে ময়ূরের চিহ্ন ও চক্র। যা দেখে অনেকেই মনে করেন মন্দিরটি হর্ষবর্ধনের আমলের। এই মন্দিরের ভিতরে রয়েছে জগন্নাথ দেবের মূর্তি। এছাড়া ভগবান বিষ্ণুর 24 অবতারে যে কল্কি রূপ, সেই রূপের বিষ্ণু মূর্তিও রয়েছে মন্দিরের ভিতর। মন্দিরের গম্বুজের উপরে থাকা বৃত্তের জন্য এই মন্দির ও চার চারপাশে কখনও বজ্রপাত হয় না।