সীমা হায়দারের ঘটনা যতটা সহজ ভাবে দেখা হয়েছিল এখন যেন ঠিক ততটাই গাঢ় হচ্ছে এর জাল। তার থেকে এবার পাঁচটি পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও একটি অব্যবহৃত পাসপোর্ট ও একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁকে গত 2 দিন ধরে লাগাতার জেরা করেছে উত্তর প্রদেশের ATS । সেখান থেকে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশ এই পাসপোর্টগুলি উদ্ধার করেছে। উত্তপ্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সীমার থেকে চারটি মোবাইল ফোন এবং দু’টি ভিডিও ক্যাসেটও পাওয়া গিয়েছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনিভাবে এ দেশে প্রবেশ করা নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জেলা পুলিশ করছে। UP ATS এর তরফে গোটা ঘটনাটিকে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়টি অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ আধিকারিকরা। এই নিয়ে সীমা, তাঁর স্বামী সচিন মিনা এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল সিংহকে জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময়ে 2019 সালে সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সীমার। সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক। এরপরেই তিনি চলে আসেন ভারতে। সব মিলিয়ে তার থেকে উদ্ধার হওয়া যাবতীয় পাসপোর্ট এবং নথি খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীদল। এই ভাবে অনলাইনের গেমের মধ্যে তিনি আর কাকে কাকে এই ভাবে এই ফাঁদে ফেলে ছিলেন তাও নাকি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।