মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিয়েতে তাঁর ইচ্ছা ছিল না বিন্দুমাত্রও। কিন্তু বিষয়টা বাড়িতে জানিয়েও লাভের লাভ কিছু হয়নি। তাই বিয়ের রাতে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেয়েটি। কিন্তু ভাগ্যের ফের বোধ হয় একেই বলে। বাড়ি থেকে পালিয়েও প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর সংসার করার স্বপ্নটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে তাঁদের বাইকের সঙ্গে একটি ট্রাকের ধাক্কা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের ঘটনা। ওই দুজন ছাড়াও ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই মৃত তরুণীর পরিবার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছিল। তাই বিয়ের রাতেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে ফেলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে সড়ক দুর্ঘটনা যে এইভাবে বিষয়টা পাল্টে দেবে তা কে জানত? একসঙ্গে বাঁচার স্বপ্ন তাঁদের এইভাবেই শেষ হয়ে গেল। জিগনা থানার অন্তর্গত সুমাটিয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ দুটি নিয়ে যায়। রানির বিয়ের জন্য প্রয়াগরাজ থেকে এসেছিল পাত্রপক্ষ। প্রস্তুতিও সব সারা হয়ে গেছিল। তার আগেই প্রেমিক বিকাশের সঙ্গে পালানো নিয়ে এক ছক তৈরি করে ফেলেছিল রানি। সেই মতো রানিকে নিতে বিকাশ বাইকে করে ওই গ্রামে পৌঁছান। কিছু দূর যাওয়ার পরই ট্রাকের সঙ্গে বিকাশের বাইকের ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। ওদিকে তখন মেয়েকে দেখতে না পেয়ে বাড়িতে খোঁজ খোঁজ রব পড়ে যায়। বাড়ির লোকেদের প্রথম মনে হয়েছিল রানিকে কেউ অপহরণ করেছে। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।