কথায় আছে ঘরের শত্রু বিভীষণ। আর যে খবরটি আপনাদের শোনাতে চলেছি সেটা শুনলে অন্তত এমনটাই মনে হবে আপনার। বাড়িতে ননদের বিয়ে ঠিক হয়েছে। ধূমধাম করে আয়োজন সারা হয়েছে। দেদার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। আত্মীয়-স্বজনরাও হাজির। কনের বাড়িতে হাজির হয়েছেন বরের বাড়ির লোকজনও। বর-কনের আংটি বদল অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আচমকাই বরের বাড়ির লোকেদের সামনে বোমা ফাটালেন কনের বউদি। তিনি জানালেন তাঁর ননদের নাকি অ্যাডাল্ট সাইটে অ্যাকাউইন্ট রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সেই অ্যাডাল্ট সাইটে তাঁর ননদের অনুরাগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আর একথা জেনেই তড়িঘড়ি বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বরের বাড়ির লোক। স্বাভাবিক ব্যাপার। জেনেশুনে আর কে এইরকম পাত্রীকে বাড়ির বউ করে নিয়ে যেতে চায় বলুন। খবরটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এই ঘটনায় সম্পূর্ণ রূপে কনের বউদিকেই দোষী ঠাউরেছেন। তাঁদের মতে প্রাপ্ত বয়স্ক দুই মানুষ নিজেদের নতুন জীবন শুরু করতে চলেছেন। এই অবস্থায় বিয়ের ঠিক আগে এই ঘটনমা ফাঁস করে দিয়ে মোটেও ভালো কাজ করেননি কনের বউদি। যদিও কনের বউদি নিজের কৃতকর্মের জন্য বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন। তাঁর মতে তিনি ভেবেছিলেন বিয়ের আগে হবু বরকে এই ঘটনা জানিয়েছিলেন তাঁর ননদ। সেইজন্যই তিনি এদিন ওই কথা সবার সামনে বলেছিলেন। অ্যাডাল্ট সাইটে অ্যাকাউন্ট আছে জেনেও বিয়ে করার জন্য তিনি বরের উদার মানসিকতার প্রশংসার করছিলেন মাত্র। আর এরপরই কার্যত প্রলয় বয়ে যায় বর-কনের পরিবারের মধ্যে। লজ্জায়, অপমানে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান কনে। ঘটনাটিতে বিয়ে ভাঙার জন্য কনের বউদিকেই দায়ী করেছেন সকলে। পরিবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।