Advertisement

Bipadtarini Puja 2024 Must Do It: বিপত্তারিণী পুজোয় এই এক ভুলে সর্বস্বান্ত হতে পারেন, সাবধান

Bipadtarini Puja: বিশ্বাস অনুযায়ী, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন।

বিপত্তারিণী পুজোয় এই এক ভুলে সর্বস্বান্ত হতে পারেন, সাবধান
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 05 Jul 2024,
  • अपडेटेड 1:18 PM IST

Bipadtarini Puja 2024 Must Do It: হিন্দু বাঙালিদের কাছে বিপত্তারিণী পুজো বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ। শক্তিরূপিনী দেবীরই এক রূপের প্রকাশ পায় তাঁর মধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওডিশা ও অসমে এই পুজো পালিত হয়। বিশেষ করে বাড়ির মহিলাদের মধ্য ভক্তি ও নিষ্ঠা সহকারে বিপত্তারিণী মায়ের পুজো প্রচলিত আছে।

আষাঢ় মাসের রথযাত্রা থেকে উল্টোরথের মধ্যে যে শনিবার ও মঙ্গলবার পড়ে, সেই দিনগুলিতেই বিপত্তারিণীর ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু ধর্মে বিপত্তারিণী ব্রতের গুরুত্ব অনেক।  দেবী দুর্গা ১০৮ অবতারের অন্যতম এবং দেবী সঙ্কটনাশিনীর একটি রূপ মা বিপত্তারিণী। বিশ্বাস, ভক্তি মনে এই পুজো করলে, যে কোনও বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হিন্দুধর্মাবলম্বীরা মূলত বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য এই দেবীর পুজো করেন। সংসারের সব বিপদ দূর করতে হিন্দু মহিলারা এই ব্রত পালন করে থাকেন। এই পুজোর একটা বিশেষ নিয়ম হল সব কিছু ১৩টা করে উৎসর্গ করতে হয় দেবীকে। 

পুজোর রীতি
বিপত্তারিণী পুজোর সঙ্গে ১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিন ১৩ গিঁট বিশিষ্ট লাল সুতো, যাকে বরাদ বা রাক্ষ সুতো বলা হয় তা স্বামী ও সন্তানের হাতে বেঁধে থাকেন মহিলারা।

এই সুতোয় ১৩টি দূর্বাও বাঁধা থাকে। বিপত্তারিণী দেবীকে ১৩ রকমের ফুল, ১৩ রকমের ফল ও ১৩ রকমের মিষ্টি অর্পণ করার নিয়ম রয়েছে। এর সঙ্গে পান, সুপুরি, নারকেল নিবেদন করা হয়ে থাকে।

পুজো শেষে প্রসাদ হিসেবে ১৩টি লুচি ও ১৩ রকমের ফল খাওয়ার চল রয়েছে। বিবাহে বিলম্ব হলেও এই পুজো করলে বাধা কেটে যেতে পারে।

মনে রাখবেন বিপত্তারিণী পুজোয় কিছু ভুল হলে তার ফলে সংসারে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি ব্যবসা বা চাকরিতে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন জাতকরা। তাই সাবধানে ও সমস্ত নিয়মনীতি মেনে এই পুজো করা উচিত।

Advertisement

বিপত্তারিণী পুজোর বিধি নিষেধ 

১. বিপত্তারিণী পুজোর আগের ও পুজোর দিন আমিষ খাওয়া যাবে না। চাল বা গমের জিনিস খাওয়া একেবারেই নিষেধ। 
২. কোনও অপরিচ্ছন্ন স্থানে বিপত্তারিণী পুজো করবেন না। নয়তো ঘরের সুখ ও শান্তির নষ্ট হয়। 
৩. পুজোর চলাকালীন কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। এর ফলে দেবী রাগান্বিত হতে পারেন এবং অর্থ সম্পর্কিত সমস্যা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ব্যবসায় ক্ষতি, বাড়িতে অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
৪.  বিপত্তারিণী পুজোর সময় কখনই কাউকে অপমান করবেন না। এমনকি এদিন কোনও মহিলার সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলবেন না। এতে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন।
৫. এদিন পরিবারের নিকট সদস্য ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে টাকা দেবেন না ও নিজেও ধারও করবেন না। মনে করা হয় এই সময় প্রদত্ত অর্থ ফেরত আসে না। সেই সঙ্গে, দেবী রুষ্ট হন এবং সম্পর্কও নষ্ট হয়ে যায়।
৬. এই পুজোর দিন পরিবারের কোনও সদস্যের মদ্যপান করা এড়ানো উচিত। 
৭. বিপত্তারিণী পুজোর দিন কাউকে চিনি দেবেন না। এদিন চিনি দিলে শুক্র দুর্বল হয় এবং সংসারে অশান্তির পাশাপাশি আর্থিক সংকট দেখা দেয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement