
Chhat Puja 2025: সোমবার ছট পুজোর তৃতীয় দিন। এই দিনটিকেই সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। কারণ আজই পালিত হয় সন্ধ্যা অর্ঘ্য।অর্থাৎ ডুবন্ত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়ার রীতি। ভক্তি, আস্থা আর আত্মসমর্পণের এই দিনটিতে ব্রতিনীরা সারাদিন নির্জলা উপবাস রাখেন। সন্ধ্যায় সূর্যদেব ও ছট মায়ের আশীর্বাদ কামনা করে জলাশয়ে দাঁড়িয়ে সূর্যকে অর্ঘ্য দেন।
আজকের সন্ধ্যা অর্ঘ্যের শুভ সময়:
পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ ডুবন্ত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়ার সবচেয়ে শুভ মুহূর্ত বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে। এই সময়েই ব্রত পালনকারীরা সূর্যকে অর্ঘ্য প্রদান করবেন।
কীভাবে হয় ছট পূজার তৃতীয় দিনের সন্ধ্যা অর্ঘ্য:
ছট উৎসবের এই সন্ধ্যা পূজাটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিন ব্রতিনীরা পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি, সন্তানের দীর্ঘায়ু ও জীবনের শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। পুজোর আয়োজন হয় একেবারে পবিত্রতা ও সরলতার সঙ্গে। মহিলারা স্নান করে নতুন পোশাক পরেন, তারপর পরিবারসহ নদী বা পুকুরের ঘাটে যান। সেখানে মাটির চুলায় রান্না করা হয় প্রসাদ। যার মধ্যে থাকে ঠেকুয়া, গুড়ের ক্ষীর, চাল, ফল ও আখ। বাঁশের চাটাইয়ে এই প্রসাদ সাজানো হয়। সূর্য আরাধনার সময়ে ব্রতিনীরা জলে দাঁড়িয়ে সূর্যকে অর্ঘ্য দেন। পরিবার-পরিজন একত্রে ছট মায়ের গান গেয়ে পূজায় অংশ নেন।
সন্ধ্যা অর্ঘ্যের তাৎপর্য:
ছট মহাপর্বে ডুবন্ত সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়া কৃতজ্ঞতার প্রতীক। এটি প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও জীবনের উত্থান-পতনকে মেনে নেওয়ার মানসিকতার প্রতিফলন। ধর্মীয় বিশ্বাসে বলা হয়, এই অর্ঘ্য উৎসর্গ করা হয় সূর্যদেবের পত্নী প্রত্যুষা বা সংজ্ঞা দেবীকে, যিনি সূর্যের শেষ রশ্মির প্রতীক।
সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়ার নিয়ম:
অর্ঘ্য প্রদানের আগে জলে লাল চন্দন, সিঁদুর ও লাল ফুল মিশিয়ে নিন। সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়ার সময় সূর্যের আলো যেন কোমল হয়, অতিরিক্ত তীব্র না হয়। ‘ওঁ সূর্যায় নমঃ’ মন্ত্রটি ১১ বার জপ করতে হয়। এরপর সূর্যের দিকে মুখ করে তিনবার প্রদক্ষিণ করতে হয়।ছট পুজোর এই তৃতীয় দিনের সন্ধ্যা অর্ঘ্যে সঠিক নিয়ম ও সময় মেনে পূজা করলে ব্রতের পুণ্য আরও বৃদ্ধি পায় বলে বিশ্বাস।