ওড়িশার পুরীতে ৭ জুলাই থেকে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা শুরু হতে চলেছে। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিন থেকে এই রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই সময় জগন্নাথদেব তার ভাই- বোন বলরাম ও সুভদ্রার সঙ্গে রথে বসেন। বিশ্বাস করা হয় যে, রথযাত্রার এই শুভ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারলে ১০০০ যজ্ঞের পুণ্য পাওয়া যায়। জানুন, রথযাত্রার অজানা কিছু তথ্য।
ভগবান জগন্নাথের লীলার মূল ভূমি পুরী, যাকে পুরুষোত্তম পুরীও বলা হয়। রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তির প্রতীক স্বয়ং শ্রী জগন্নাথ। অনেকেই জানে না, শ্রীকৃষ্ণও তার অংশ। জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার অর্ধ-সমাপ্ত কাঠের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তিগুলি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন তৈরি করেছিলেন। আষাঢ় শুক্লা দ্বিতীয়ায় পুরীতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা শুরু হয়।
রথযাত্রায় ভগবান জগন্নাথ বছরে একবার সাধারণ মানুষের মাঝে যান। দশমী তিথিতে এই রথযাত্রা শেষ হয়। রথযাত্রায়, বলরাম তাল ধ্বজে সামনের দিকে হাঁটেন। তার ঠিক পিছনে পদ্মধ্বজ রথ এবং সুদর্শন চক্রে থাকেন সুভদ্রা। সবার শেষে জগন্নাথদেব গরুড় ধ্বজে পিঠে হাঁটেন।
রথযাত্রার বিশেষ গুরুত্ব
স্কন্দপুরাণে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি রথযাত্রায় প্রভু জগন্নাথের নাম জপ করে গুন্ডিচা নগরে যায়, সে পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পায়। যে ব্যক্তি ভগবানের নাম উচ্চারণ করে রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, তার সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। শুধুমাত্র রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করলেই শিশুদের সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়। সেই সব মানুষ পরম সৌভাগ্যবান, যারা ভগবান জগন্নাথের সেবা করার পুণ্য পায়।
রথযাত্রা ২০২৪-র দিনক্ষণ
* রথযাত্রা - ৭ জুলাই (২২ আষাঢ়), রবিবার। দ্বিতীয়া শুরু ৬ জুলাই রাত ৪/২/৩৫ -এ এবং শেষ ৭ জুলাই রাত ৪/৩১/৪০ মিনিটে।
* উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) - ১৬ জুলাই (১ শ্রাবণ), মঙ্গলবার।
বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন পালন করেন ভারতবাসীরা। সেরকমই আরও একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। বিশেষ তিথিতে ধুমধাম করে রথযাত্রার উৎসব পালিত হয় পুরী, মাহেশ, ইস্কনের মন্দিরে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত মন্দিরে ও বনেদি বাড়িতে জগন্নাথ দেব আছে, সেখানেও ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব।