বছরভর নানা অনুষ্ঠান উদযাপন করেন ভারতবাসীরা। সেরকমই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল রথযাত্রা। এই উৎসবের আগে জগন্নাথদেবের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল, স্নানযাত্রা। রথযাত্রা ও স্নানযাত্রা উৎসব ঘিরে পুরাণে রয়েছে নানা কাহিনি। মনে করা হয়, স্নানযাত্রার দিন জগন্নাথদেবের জন্মদিন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন জগন্নাথদেবকে স্নান করানোর পর তার জ্বর আসে।
জগন্নাথের স্নানযাত্রা কবে পড়েছে?
এই বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পড়েছে ২২ জুন শনিবার।
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, এই বিশেষ তিথিতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন সারা বছর ভাগ্য ভাল থাকে। ভক্তি মনে এই বিশেষ তিথিতে কিছু নিয়ম মানলে সারাবছর সুখ-শান্তিতে ভরে ওঠে পারিবারিক জীবন।
স্নানযাত্রার বিশেষ তিথিতে সকালবেলা নতুন বস্ত্র পরে গঙ্গায় স্নান সারতে হয়। এরপর মন্দিরে বা বাড়িতে থাকা জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো করার নিয়ম। তবে পুজোর আগে তাঁদের অবশ্যই স্নান করাতে হয়। গঙ্গাজল ও কাঁচা দুধের সঙ্গে আতর, চন্দন ও কর্পূর মিশিয়ে নিষ্ঠা মনে স্নান করাতে হবে। স্নানের পরে ১০৮ টি তুলসী পাতা জগন্নাথদেবের চরণে দিন। জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরাম তিনজনের মূর্তির সামনেই গোলাপ ফুল দিয়ে সাজান ও ৫ রকমের ফল উৎসর্গ করুন। এদিন অন্তত একজন ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো শুভ বলে বিবেচিত।
জগন্নাথের স্নানযাত্রার নিয়মকানুন
* স্নানযাত্রার বিশেষ তিথিতে সকালবেলা নতুন বস্ত্র পরে গঙ্গায় স্নান সারতে হয়।
* এরপর মন্দিরে বা বাড়িতে থাকা জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার পুজো করার নিয়ম। তবে পুজোর আগে তাঁদের অবশ্যই স্নান করাতে হয়।
* গঙ্গাজল ও কাঁচা দুধের সঙ্গে আতর, চন্দন ও কর্পূর মিশিয়ে নিষ্ঠা মনে স্নান করাতে হবে।
* স্নানের পরে ১০৮ টি তুলসী পাতা জগন্নাথদেবের চরণে দিন।
* জগন্নাথদেব, সুভদ্রা ও বলরাম তিনজনের মূর্তির সামনেই গোলাপ ফুল দিয়ে সাজান ও ৫ রকমের ফল উপসর্গ করুন।
* এদিন অন্তত একজন ব্রাহ্মণকে ভোজন করানো শুভ বলে বিবেচিত।
রথযাত্রা ২০২৪-র দিনক্ষণ
* রথযাত্রা - ৭ জুলাই (২২ আষাঢ়), রবিবার। দ্বিতীয়া শুরু ৬ জুলাই রাত ৪/২/৩৫ -এ এবং শেষ ৭ জুলাই রাত ৪/৩১/৪০ মিনিটে।
* উল্টো রথযাত্রা (পুনর্যাত্রা) - ১৬ জুলাই (১ শ্রাবণ), মঙ্গলবার।