Advertisement

Vishwakarma Puja 2024 Bratakatha: বিশ্বকর্মা পুজোর ব্রতকথা শুনলে মেলে দারুণ সাফল্য, জেনে নিন

Vishwakarma Puja 2024 Bratakatha: কেউ যদি কোনও পুজো নাও করে থাকেন আজকের দিনে এই ব্রতকথাটি শ্রবণ করে যদি আপনার বাড়িতে কোনও প্রকার যন্ত্রপাতি বা যানবাহন থাকে, বা নিদেন পক্ষে একটি সাইকেলও থাকে তাতে একটি ফুল দিয়ে এই ভাদ্র সংক্রান্তির ব্রতকথাটি আরও একবার শুনলে আপনার ও আপনার পরিবারের মঙ্গল হবে। 

বিশ্বকর্মা পুজোর ব্রতকথা শুনলে মেলে দারুণ সাফল্য, জেনে নিনবিশ্বকর্মা পুজোর ব্রতকথা শুনলে মেলে দারুণ সাফল্য, জেনে নিন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 17 Sep 2024,
  • अपडेटेड 3:41 AM IST

Vishwakarma Puja 2024 Bratakatha: বিভিন্ন পেশার মানুষ বিশ্বকর্মা পুজো করেন। উন্নত ভবিষ্যৎ, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করেই এই পুজো হয়। মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি আছে এরকম সব স্থানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। পুরাণ মতে ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। 

ভাদ্র মাসে সর্বশেষ দিনে বাড়িতে বা দোকানে, কারখানায় যে সকল স্থানে যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেখানে পুজো করা হয় বিশ্বকর্মার। বাবা  বিশ্বকর্মার পুজো আজকের দিনে অনেকেই পালন করেন। এই ভাদ্র সংক্রান্তির ব্রতকথা এবং বিশ্বকর্মার ব্রত কথাটি একবার হলেও শ্রবণ করা প্রয়োজন। কেউ যদি কোনও পুজো নাও করে থাকেন আজকের দিনে এই ব্রতকথাটি শ্রবণ করে যদি আপনার বাড়িতে কোনও প্রকার যন্ত্রপাতি বা যানবাহন থাকে, বা নিদেন পক্ষে একটি সাইকেলও থাকে তাতে একটি ফুল দিয়ে এই ভাদ্র সংক্রান্তির ব্রতকথাটি আরও একবার শুনলে আপনার ও আপনার পরিবারের মঙ্গল হবে। 

ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে 'কন্যা সংক্রান্তি' বলা হয়। পুরাণ মতে এই তিথিতেই  বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। কিন্তু শুধুমাত্র বিশ্বকর্মা পুজোর তিথি স্থির করা হয়, সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। 

বিশ্বকর্মার ব্রতকথা 
কাশী শহরে একজন চালক সারাদিন মন দিয়ে তার রথ চালানোর কাজ করত। একজন রথ চালক হিসেবে অনেক সময় তাঁকে দেশের নানা জায়গায় ভ্রমন করতে হতো। সমস্যা নির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এই কঠোর পরিশ্রম করা সত্ত্বেও তাঁর এবং পরিবারে দারিদ্রতা যেন কাটতেই চাইত না। মাসের পর মাস পরিশ্রম করেও দিনের আহার ছাড়া অতিরিক্ত ধন সম্পত্তি সঞ্চয় হত না। অন্যদিকে স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত কোন সন্তানাদি না থাকায় তাদের স্বামী-স্ত্রীর মনে সর্বদা একটা সন্তান প্রাপ্তির চিন্তা লেগেই থাকতো। সন্তান প্রাপ্তির আশাতে দুজনে, সাধু সন্ততির কাছে গিয়ে ধরনা দিতেন। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। 

Advertisement

তখন তাঁদের এক মহর্ষি অমাবস্যা পালনের মধ্য দিয়ে পূজো করার জন্য বললেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সন্তান প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক সমস্যাও দূরীভূত হবে। বাবা বিশ্বকর্মার কৃপায় সেই দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন, যাঁর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ধন অর্জন করতে পারবেন। এরপরপ দুজনায় মিলিতভাবে খুব ধুমধাম সহকারে ভাদ্র সংক্রান্তের দিন বাবা বিশ্বকর্মার পূজা করলেন। অল্প দিনের মধ্যেই তাদের সংসারের সমস্ত দারিদ্রতা দূর হলো। রথ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের একটি কারখানাও খুললেন রথচালক। এবং তাদের একটি সুন্দর ফুটফুটে পুত্র সন্তানের প্রার্থী হল। এরপর থেকে যন্ত্র যানবাহন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা তাদের ব্যবসা এবং কর্মস্থলে বিশ্বকর্মা দেবের কৃপাপ্রাপ্তির আশাতে নিয়মিত প্রত্যেক বছর বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন করতে শুরু করল। এইভাবে বিশ্বকর্মা পূজার প্রচলন হল।

বিশ্বকর্মা পুজো ২০২৪ -র দিনক্ষণ
এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর (বাংলায় ৩১ ভাদ্র), মঙ্গলবার। 

অমৃত যোগ - দিবা ঘ ৭।৫২ গতে ১০। ১৬ মধ্যে ও ১২। ৪০ গতে ২। ১৬ মধ্যে ও ৩। ২ গতে ৪।৪০ মধ্যে এবং রাত্রি  ঘ ৬।১৬ মধ্যে ও ৮।৪০ গতে ১১। ৬ মধ্যে ও ১। ২৭ গতে ৩। ৪ মধ্যে 

বিশ্বকর্মা পুজোর মন্ত্র
দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ। বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক। ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।

শুধু কলকারাখানা, শিল্পক্ষেত্র নয়, অনেক বাড়িতেও বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। এই বিশেষ দিন পুজোর পর রকমারি খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো রীতি রয়েছে। এছাড়াও এই পুজোর আগের দিন পশ্চিমবাংলার আদি বাসিন্দারা অর্থাৎ এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন। এটিও বাঙালিদের একটি জনপ্রিয় পার্বণ। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement