Astrological Benefits Of Panna: রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতিটি রত্নই কোনও না কোনও গ্রহের নিয়ন্ত্রক। এই রত্নগুলির গ্রহগুলির অবস্থান, দিক পরিবর্তন, এমনকি প্রভাব পরিবর্তন করারও ক্ষমতা রয়েছে। রাশিচক্র অনুযায়ী রত্ন ধারণ করলে এর শুভ ফল পাওয়া যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পান্নাকে বুধ গ্রহের রত্ন হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা বাক, বুদ্ধি এবং ব্যবসার কারক গ্রহ। সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে, আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং জীবনকে সুখী ও সফল করতে পান্নাকে অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে পান্নার ব্যবহার ও কার্যকারিতা সম্পর্কে অনেক কিছু বলা আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক পান্না ধারণ করার উপকারিতা আর কাদের এই রত্ন ধারণ করা উচিত সেই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি...
ভাগ্য পরিবর্তনের পান্না: রত্নশাস্ত্রে পান্নাকে অত্যন্ত শক্তিশালী রত্ন বলে মনে করা হয়। পান্না পরলে কুণ্ডলীতে বুধের অবস্থান শক্তিশালী হয়। পান্না বুদ্ধি, যুক্তি, যোগাযোগ এবং সম্পদ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কুণ্ডলীতে বুধের অন্তর্দশা বা মহাদশা চললে পান্না পরা খুবই উপকারী। বুধ গ্রহকে ব্যবসার কারক গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এটি ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দেয়। পান্না সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
ব্যবসায়ীরা পান্না ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় শক্তিশালী লাভ করতে শুরু করে। তবে পান্না সবসময় শুধুমাত্র একজন রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই পরা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কন্যা বা মিথুন রাশির জাতকরা পান্না রত্ন ধারণ করতে পারেন।
যদি কুণ্ডলীতে বুদ্ধের মহাদশা থাকে এবং বুধ গ্রহ অষ্টম বা দ্বাদশ ঘরে না থাকে তবে সেই ব্যক্তি পান্না পরতে পারেন। কুণ্ডলীতে বুধ, মঙ্গল, শনি, রাহু বা কেতু অবস্থান করলেও পান্না রত্ন পরা যেতে পারে।
সঠিক নিয়ম মেনে পান্না ধারণ করতে পারলে চাকরি ও ব্যবসার সমস্যা, বাধা দূর হয়। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে ৬, ৭ এবং ১২তম ঘরে বুধ রয়েছে, তাদের পান্না ধারণ করা এড়িয়ে চলাই উচিত।