বাস্তুশাস্ত্র বলছে , বাড়িতে বেশ কয়েকটি গাছ সুখ সমৃদ্ধি তথা ধনসম্পত্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে সেই গাছ গুলি বাড়ির উপযুক্ত স্থানে রাখলে, বাড়ির সদস্যদের সৌভাগ্য সমৃদ্ধি বাড়তে বাধ্য।
আবার এমন কিছু গাছ বা চারা রয়েছে, যার উপস্থিতি সেই বাড়ির ও পরিবার-পরিজনের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
হিন্দু ধর্মে বট গাছের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই গাছ দেবতা ও পূর্বপুরুষদের বাসস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে বট ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের বাসস্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। বট গাছকে স্বয়ং শিবও বলা হয়। বট গাছ দর্শণ করাকে দেবাদিদেব মহাদেব দর্শনের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
তবে বাস্তু মতে বট গাছ বাড়িতে লাগানো উচিত নয়। বাড়িতে এই গাছ লাগানোর পর তার সঠিক নিয়ন না মানার কারণে দুর্ভাগ্য দেখা দেয়।
এই গাছে জল দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষদের আত্মারা শান্তি কামনা করা হয়। এর বাইরে এর আরাধনায় শনি দশা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
বাড়ির পূর্ব দিকে অশ্বত্থ গাছ এবং পশ্চিম দিকে বটগাছ দীর্ঘস্থায়ী আইন সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমার কারক। তাই বট সর্বদা পূর্ব দিকে লাগান উচিত।
তবে ঘরের বাইরে বা মন্দিরের চারপাশে বট গাছকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
সঠিক নিয়ম মানলে বাড়িতে বট গাছের বৃদ্ধি বাড়তি মঙ্গল হিসাবে বিবেচিত হয়। বট গাছ শুদ্ধতার প্রতীক, এমন পরিস্থিতিতে বিবাহিত জীবনে এর পুজো অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়।
বনসাই বাড়িতে বাস্তুদোষ আহ্বান করে। তাই বট গাছের বনসাই বাড়িতে না রাখাই ভাল।