গত বছরের মতো ২০২৫ সালেও মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি সূর্যগ্রহণ এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ৷ গ্রহণ হল একটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত ঘটনা, যা প্রতি বছর দেখা যায়।
সনাতন ধর্মে, গ্রহণকে নিছক একটি জ্যোতির্বিদ্যাগত ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। এটিকে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করা হয়।
২০২৫ -এর দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বর হবে রাত ৯:৫৮ মিনিট থেকে রাত ১:২৬ মিনিট পর্যন্ত। এই গ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন চাঁদের চারিদিকে লাল রঙা আভার ফলে, একেবারে বিরল দৃশ্য দেখা যাবে।
ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, ফিজি, অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশ এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চল জুড়ে এই চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান হবে। এবছর শুধু মাত্র এই গ্রহণটি ভারত থেকে দেখা যাবে।
গ্রহণ অশুভ বলে বিশ্বাস করেন অনেকে। সেই বিশ্বাস অনুযায়ী গ্রহণের সময়কালে, কোনও ধরনের শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ। এছাড়া এই অশুভ প্রভাব দূর করার জন্য, কয়েক দিন কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়।
বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে পরিবেশে নেতিবাচক শক্তি বেশি থাকে। তাই, এই সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়া অশুভ। গ্রহণের রশ্মি গর্ভে বেড়ে ওঠা ভ্রূণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের কাঁচি, ব্লেড, ছুরি বা কোনও ধারালো জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়। এদিন ধারালো জিনিস বা সরঞ্জামের ব্যবহার গর্ভবতী মহিলাদের এবং তাদের ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়।
চন্দ্রগ্রহণ এবং এর সূতক সময়কালেও খাবার রান্না করা বা খাওয়া নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের নেতিবাচক শক্তি খাবারকে দূষিত করে, যা শিশুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, প্রয়োজনে, গর্ভবতী মহিলারা হালকা এবং সাত্ত্বিক খাবার খেতে পারেন।
চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের সরাসরি চাঁদের আলোর সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। এর জন্য, দরজা এবং জানালা বন্ধ রাখাই উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)