প্রতি বছরের মতো এবারও সাড়ম্বরে ফলহারিণী কালীপুজো হল তারাপীঠে। জ্যৈষ্ঠমাসের অমাবস্যা তিথি যা ফলহারিণী অমাবস্যা নামেও খ্যাত। এই দিনেই পূজিত হন আদিশক্তি।
এই অমাবস্যায় তারাকে ফলের ভোগ নিবেদন করলে মনোস্কামনা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস। তাই ফল দিয়ে তারাকে পুজো করেন ভক্তরা।
ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে তারা মায়ের নিশিরাতে পুজো ও আরতি হয়। রাতে মাকে ফুল এবং ফলের মালা দিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়।
যে ফল বিগ্রহকে নিবেদন করা হয়, সেই ফল খাওয়া যায় না। ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে আরতি হয় তিনবার।
তারা দু'বার ভোগ নিবেদন করা হয়। রাতে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় খিচুড়ি, পাঁঠার মাংসের ভোগ। পু
কথিত আছে, এই দিন পরমহংস রামকৃষ্ণ দেব স্ত্রী সারদাদেবীকে ষোড়শী রূপে পুজো করেছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও আশ্রমে এই ফলাহারিণী কালীপুজো ষোড়শী পুজো নামে পরিচিত।
এই তিথিতে দেবীর আরাধনায় অশুভ কর্মফল নাশ হয় এবং শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
ফলহারিণী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠে ভিড় ছিল। তবে অন্যান্যবারের চেয়ে অনেকটা কম। ট্রেন বন্ধ থাকায় ভিড় কম ছিল বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তারাপীঠেই নয় এই বিশেষ তিথিতে বাড়ির কাছাকাছি যে কোনও কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেই সৌভাগ্যলাভ হয়। সুখ সমৃদ্ধি, মানসিক শান্তি সব দিক থেকেই শুভ ফল পাওয়া যায় ফলহারিণী অমাবস্যার পুজোয়।