এক দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ। তার মধ্যেই হরিদ্বারে দ্বিতীয় শাহি স্নানে কোভিড বিধিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখানো হল।
হাজার হাজার মানুষের জমায়েতে মহামারী নিয়ে কোনও তোয়াক্কাই করতে দেখা গেল না পুণ্যার্থীদের। গঙ্গার ঘাটে চরম ভিড়ের মধ্যে দেখা গেল মাস্কের ছবিও।
এক জায়গায় এত মানুষের জমায়েত নিয়ে রীতিমতো চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের। রবিবার শুধুমাত্র হরিদ্বারে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন।
মেলা প্রাঙ্গনেই র্যান্ডম টেস্টে অন্তত ৯ জনের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তার পরেও এ নিয়ে কোনও সতর্কতা দেখা যায়নি সাধারণ মানুষের মধ্যে।
মহাকুম্ভের শাহি স্নান ১২ বছর অন্তর হয়। দেশের চারটি প্রধান নদীর তীরে কুম্ভের আসর বসে।
রবিবার সন্ধ্যায় বিরাট সংখ্যক মানুষ হর কি পাউরিতে একত্র হয়ে গঙ্গারতি এবং শাহি স্নানের প্রস্তুতি দেখতে আসেন। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক বা সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের লেস মাত্র দেখা যায়নি।
৭টি সন্ন্যাসী আখড়া, তিনটি বৈরাগী আখড়া এবং তিনটি বৈষ্ণব আখড়ার সাধু এবং ভক্তদের আলাদা আলাদা স্নানের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত স্নান করতে আসেন তাঁরা।
কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় যাতে কোভিড নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। অন্তত মহাকুম্ভের বিভিন্ন ঘাটে তো বটেই। কিন্তু তা যে শুধুমাত্র কথার কথা হিসাবেই নিয়েছে রাজ্য সরকার, তা একপ্রকার স্পষ্ট এই ছবিতে।
নীতি আযোগ সদস্য ড. ভি কে পাল-কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, মহাকুম্ভ কি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সুপার স্প্রেডারের ভূমিকা নেবে?
উত্তরে খানিকটা এড়িয়ে গিয়েই তিনি বলেন, 'আমরা আশা করছি কুম্ভ মেলার প্রাঙ্গনে কোভিড বিধির নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালন করা হবে।' তাঁর আশা যে একেবারে নিরাশায় পরিণত হয়েছে, পরিষ্কার হয়েছে মানুষের ভিড় এবং অসতর্ক আচরণে।