রাশিচক্র অনুসারে বিচার করলে উপযুক্ত জীবনসঙ্গীও খুঁজে পাওয়া সম্ভব। মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়া নিয়ে মেয়েদের মধ্যে কৌতূহলের পাশাপাশি যথেষ্ট দুশ্চিন্তাও থাকে! তাই বিয়ের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন মেয়েরা।
তবে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বন্ধু, প্রমিক বা স্বামী— যে কোনও ভূমিকাতে একটি বিশেষ রাশির ছেলেরা মেয়েদের জীবনে সেরা জীবনসঙ্গী হিসাবে প্রমানিত হয়েছেন। সব মেয়েরাই ঠিক যেমন চান, এই রাশির ছেলেরা ঠিক তেমনই! চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে কর্কট রাশির ছেলেরা ভাল জীবনসঙ্গী হিসাবে প্রমাণিত হয়। কর্কট রাশির জাতকরা তার স্ত্রীকে খুশি রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন। তাদের প্রকৃতি অত্যন্ত যত্নশীল। তারা তাদের স্ত্রীর মনের কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঠিক ভাবে বুঝতে পারেন।
এই রাশির অধিপতি চন্দ্র। এই রাশির ছেলেদের স্বভাব চাঁদের মতো কোমল। কর্কট রাশির জাতকরা খুবই সংবেদনশীল। তাদের ব্যক্তিত্ব খুবই আকর্ষণীয়। যে কোনও ব্যক্তি বা মহিলা খুব দ্রুত এই রাশির জাতকদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এই রাশির জাতকরা সব মহলেই খুব জনপ্রিয়। তারা সামাজিক জীবনে সাফল্য পায়। কর্কট রাশির জাতকদের শৈশব কষ্টে ভরা। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনে সুখ বাড়তে থাকে।
এই রাশির ছেলেরা তাদের সঙ্গীর ইচ্ছার পূর্ণ যত্ন নেয়। প্রতিটি প্রয়োজনে তারা তার পাশে দাঁড়ায়। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনেক চিন্তা করে। তারা সবসময় পারিবারিক জীবন লালন করে।
এই রাশির জাতকরা যে কাজটা তারা একবার করার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা তাঁরা দায়িত্বের সঙ্গে সুসম্পন্ন করার চেষ্টা করে। কর্কট রাশির জাতকরা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে ভালো গাইড হিসেবেও প্রমাণিত হয়। তারা স্বপ্নদ্রষ্টা। তারা বেড়াতে খুব পছন্দ করে। তারা তাদের কাছের মানুষের সাথে সর্বাধিক সময় কাটাতে পছন্দ করে।
তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো। তারা অর্থ সঞ্চয় বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই রাশির পুরুষরা সবসময় একসাথে থাকতে পছন্দ করে। তারা ভালো পোশাক খুব পছন্দ করে। তারা তাদের গৃহসজ্জার সামগ্রীতে তাদের বেশিরভাগ অর্থ ব্যয় করে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।