গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে বেলুড় মঠ একদিনের জন্য দর্শনার্থীদের জন্য খুলে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেল চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটা অবধি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা বেলুড় মঠ। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছে। সব ছবি: হিমাদ্রী ঘোষ
কিন্তু মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাঁর গুরুদেবের আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য হাজির সেখানে। গুরু পূর্ণিমায় দর্শনার্থীর ভিড়। করোনা সংক্রমণ রুখতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
বেলুড় মঠে বৃষ্টির মধ্যেও লোকে লাইন দিয়ে বেলুড় মঠের মন্দির দর্শন করছেন। এবং সেখান থেকে সারদা মন্দির এবং তাঁর নিজেদের গুরুর সঙ্গে দেখা করে আশীর্বাদ গ্রহণ করে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। আনন্দিত যে এতদিন পর বেলুড় মঠ খুলেছে।
সেখানে এসেছিলেন জয়িতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, বেলুড় মঠে দীক্ষিত। আমার খুব ভাল লাগছে। গুরু পূর্ণিমায় এখানে আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে. আমরা অপেক্ষা করছিলাম। এটা আমার কাছে দারুণ পাওনা। ঠাকুরকে বলার এসে গিয়েছি আমরা, একটু ভক্তদের দেখো। খুব ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্যানিটাইজার আছে, টেম্পারেচার চেক করা হচ্ছে।
বেলুড় মঠে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা ছিল। ছিল স্যানিটাইজার রাখা। সবাই মাস্ক পরে এসেছিলেন।
অরুণকুমার নাথ বলেন, আজ গুরু পূর্ণিমা। আমি যোগোদ্যান মঠে সঙ্গীতের শিক্ষক। এটা গুরুর কৃপা। তাই এখানে আসতে পেরেছি। প্রায় দেড় বছর পর এলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
চন্দ্রা সামন্ত নাম এক ভক্ত বলেন, খুব ভাল লাগছে। গুরুর দয়ায় আসতে পেরেছি। না হলে কি আসতে পারতাম?
সোমা হাজরা নামে আর এক ভক্ত বলেন, দারুণ লাগছে। মনটা খুব খারাপ ছিল। খবর পেয়েই চলে এসেছি। প্রণাম করতে এসেছি। খুব ভাল লাগছে।
মণিদীপা চট্টোপাধ্যায় নামে এক ভক্ত বলেন, এখানে দীক্ষিত। তাই এখানে এসেছি।
এদিকে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মঠের অছি পরিষদ ১০ ফেব্রুয়ারী থেকে মঠ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর আগে লকডাউনের পর প্রায় দেড় মাস খোলা রাখা হয়েছিল বেলুড় মঠ। কিন্তু, মঠের প্রবীণ সন্ন্যাসীদের অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফের মঠ বন্ধ রাখতে হয়।
এরপর ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মঠ এখন সম্পূর্ণ গ্রিন জোন। এই অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় আজ থেকেই খুলতে চলেছে বেলুড় মঠ। করোনা সংক্রমণ রুখতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন যানবাহন থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ এবং প্রায় সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন বন্ধ ছিল বেলুড় মঠও।