জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মানুষের স্বভাব এবং ভবিষ্যৎ চুল দেখে বলে দেওয়া সম্ভব। আসুন আমরা জেনে নিই কীভাবে চুলের বুনন এবং গঠন আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে।
যে ব্যক্তির চুল উপরে ওঠা বা খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের উপর রাহুল প্রভাব এবং মঙ্গলের প্রভাব থাকে। এমন ধরণের লোকেদের মঙ্গল এবং রাহুর প্রভাব খুব খারাপ ভাবে থাকে। তাদের জীবনের সাফল্য পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তারা শারীরিকভাবে সক্ষম হন এবং প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন। এই ধরনের চুল যাদের থাকে তাদের ভগবান শিবের আরধনা শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয় এবং মঙ্গলবার দ্বারা যদি গরিবদের খাবার বিতরণ করেন তাহলে মঙ্গলের প্রভাব ভালো থাকে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে যাদের চুল মাথার সঙ্গে চিপকে থাকে। এই ধরনের চুলের অধিকারীরা অত্যন্ত বেশি কথা বলেন। তারা অনাবশ্যক কথাবার্তা বলে বিবাদ এর কারণ হয়ে পড়েন। এই কারণে এমন ধরনের বলা লোকেদের নিজের বক্তব্যের প্রতি সচেতন থাকা উচিত এবং কম কথা বলার চেষ্টা করা উচিত। এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বুধবার দিন তারা ছোট বাচ্চা মেয়েদের শ্রদ্ধা পূর্বক ভোজন করানো উচিত। এমন করলে এই দোষ থেকে তারা মুক্তি পেতে পারেন।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাদামি রঙের চুল ওয়ালা লোকেরা প্রগতিশীল বলে পরিচিত হন। তারা খুব সহজেই এগিয়ে যান। জীবনে সাফল্য লাভ করেন। প্রজ্ঞার অধিকারী হন। এ ছাড়া এই ধরনের চুল-ওয়ালা লোকেরা নিজেদের বন্ধুদের কাছ থেকে ধোঁকা বা প্রতারণার শিকার হন। এই ধরণের লোকেদের জীবনে বিয়ের পর বদলে যায়। যাদের চুল বাদামি, হালকা এলোমেলো থাকে তাদের মস্তিষ্ক অত্যন্ত প্রখর হয়।
যাদের চুল শক্ত এবং কড়া তাদের মনের মত কাজ এবং প্রফেশনে সাফল্য পান না। এই ধরনের লোকেরা কেরিয়ারে প্রচুর সমস্যা করতে হয়। এ ছাড়া যাদের চুল বাদামি এবং করা হয় তাদের খুব দ্রুত সাফল্য মেলে, এই ধরনের লোকেরা নিজেদেরকে ক্যারিয়ার এবং পেশায় সফল হন।
যে সমস্ত ব্যক্তির চুল নরম এবং পাতলা হয় তাদের মন একদম জলের মতো স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার হয়। যার উপর কখনও যে কোনও রং বুলিয়ে দেওয়া যায়। এই কারণে তারা কোনও বিষয়ে খুব দ্রুত বিশ্বাস করে নেন এবং তারা বাচ্চাদের মতো সরল হন। তাহলে ভাবাবেগ সম্পন্ন জীবনে অনেক ধাক্কা খেলেও ভালো শিল্পী, মননশীল হন।
ওয়েভি বা ঢেউ খেলানো চুল যাদের থাকে নিজেদের পছন্দমত কাজ করতে পছন্দ করেন, তারা বিভিন্ন ফিকিরে এবং পরিশ্রমে সাফল্য লাভ করেন। সময়ের সঙ্গে বদলে যাওয়া তাদের মুখ্য অভ্যাস। একাগ্রতার অভাব তাদের মাঝেমধ্যে ভোগায়।
কোঁকড়া চুল যাদের থাকে তাদের কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যাদের হালকা কোঁকড়া, সেটি ভালো আর যাদের অত্যধিক কোঁকড়া তাদের প্রচুর সম্পত্তি এবং ধন হাসিল হয়। হালকা কোঁকড়া চুলওয়ালা ব্যক্তিরা জীবনে সাফল্য সময়ে মিলে যদি মহিলাদের মাথার সামনে চুল বেশি কোঁকড়া হয় তাহলে বাইরের পুরুষদের থেকে সতর্ক থাকা উচিত।
যাদের ঘন কোঁকড়া চুল হয়, এমন ধরণের লোকেদের শরীর কমজোর এবং মস্তিষ্ক হাইপার হয়, এমন ধরণের লোকদের বুধ ভালো থাকে, কিন্তু তাঁরা কোনও এক জায়গায় লেগে থেকে কাজ করতে পারেন না।
যাদের নিজেদের চুল সব সময় খোলা রাখতে পছন্দ হয়, এমন ধরনের ব্যক্তির খোলামেলা বিচার ভাবনার অধিকারী। এবং তারা স্বতন্ত্র থাকা পছন্দ করেন। বাইরে ঘোরা চাকরি করা এদের খুব একটা পছন্দ নয়।
যাঁরা নিজেদের চুল অর্ধেক বেঁধে, অর্ধেক খুলে রাখেন তারা যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। একটু স্বাধীনতা একটু বাঁধন তাঁরা পছন্দ করেন। এই ধরনের চুল ওয়ালা ব্যক্তিকে নিজেদের সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো সামলাতে পারেন তাঁরা অন্যের কথা একটা সীমা পর্যন্ত শোনেন, তারপরে পাতা দেন না।
সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে যে সমস্ত মহিলাদের চুল কানের কাছে এসে পেঁচানো হয়ে গিয়েছে, তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী হন। মহিলারা মেয়েদের ভাগ্যে সবচেয়ে সব সুখ এবং আনন্দ পান, তাঁদের ভাগ্যের সঙ্গে জড়িত লোকেদের জীবনও আগে এগিয়ে যেতে সহায়ক হয়।