প্রতি বছর দোলযাত্রা বা হোলি খুব গোটা দেশেই খুব সমারোহে পালিত হয়। প্রতি বছর সাধারণত ফাল্গুন মাসেই পড়ে দোলযাত্রা। তবে এই বছর চৈত্র মাসেই, ২৮ মার্চ পড়েছে রঙের উৎসব। তার আগের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চ ন্যাড়া পোড়ানো বা হোলিকা দহন পালন হয় কলকাতায়। তবে জানেন কি এই বছরের অন্যবারের থেকে বেশি শুভ।
জ্যোতিষীদের মতে, এই বছর প্রায় ৪৯৯ বছর পর গ্রহদের নতুন সংমিশ্রণ গঠিত হচ্ছে । জেনে নিন বিস্তারিত।
গ্রহদের সংমিশ্রণ
জ্যোতিষীরা বলছেন, চন্দ্র কন্যা রাশিতে থাকবে এই বছর হোলিতে। অন্যদিকে বৃহস্পতি ও শনি একই স্থানে থাকবে। একই ধরণের পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল ১৫২১ সালে। অর্থাৎ ৪৯৯ বছর পড়ে, মহাসংযোগ তৈরি হবে।
বিশেষ যোগ
সেই সঙ্গে সিদ্ধি যোগ ও অমৃত সিদ্ধি যোগ তৈরি হবে হোলিতে। এই দুই যোগই খুব শুভ।
দোল পূর্ণিমার সময়
আগামী ২৭ মার্চ রাত ২.৪৩.৩৬ থেকে ২৮ মার্চ রাত ১২.৫৪.৪২ পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
'হোলি কা দহন' কখন?
হোলি কা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এই তিথি শুরু হচ্ছে, ২৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬.৩৭ মিনিটে এবং শেষ হচ্ছে ৮.৫৬মিনিটে।
হোলিকা দহনের গুরুত্ব
হোলিকা দহনের সময়কালে ভক্তির ক্ষমতা এই সময়ে তপস্যা করা ভালো। হোলিকা দহন শুরু হলে গাছের একটি ডাল কেটে সেটি মাতিতে পুঁতে দিতে হয়। এরপর সেই ডালে রঙিন কাপড় বেঁধে দেওয়ার রীতি রয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত হোলি আসছে, সেই গাছের ডাল ওখান থেকে সরাতে নেই।
প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর হোলিকা বধকে উদযাপন করা হয় এভাবেই। হোলির আগের দিন কোনও খোলা মাঠ বা স্থানে কাঠ ও জ্বালানি মজুদ করে সাজানো হয়। তার উপর একটি পুত্তলি রাখা হয়, যা হোলিকার প্রতীকী রূপ। এই হোলিকা প্রহ্লাদকে ছলনা করে আগুনে পোড়াতে চেয়েছিলেন।
(ছবি সৌজন্য - গেটি)