Advertisement

ধর্ম

Janmashtami 2021: আজও জ্বলছে কৃষ্ণের হৃদয়? জানুন হাজার বছরের পুরনো রহস্য

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 31 Aug 2021,
  • Updated 11:02 AM IST
  • 1/10

মহাভারত কেবল কৌরবদের সমাপ্তির জন্যই পরিচিত নয়, এখান থেকেই শ্রী কৃষ্ণের শেষ শুরু হয়েছিল। শ্রীমদ্ভগবদ গীতা অনুসারে, পুত্র দুর্যোধনের মৃত্যুতে শোকাহত গান্ধারী কৃষ্ণকে মৃত্যুর অভিশাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু এটা বিশ্বাস করা হয় যে হাজার বছর আগে মারা যাওয়া কৃষ্ণের হৃদয় এখনও পৃথিবীতে স্পন্দিত হচ্ছে।

  • 2/10

মহাভারতের যুদ্ধের ৩৬ বছর পর, শ্রীকৃষ্ণ একটি গাছের নিচে যোগ সমাধিতে ছিলেন। জরা নামে এক শিকারি একটি হরিণকে তাড়া করতে করতে সেখানে পৌঁছেছিল। শ্রী কৃষ্ণের পায়ের নড়াচড়া দেখে হরিণ হিসাবে ভুল করে একটি তীর ছুঁড়েছিল। কিন্তু কাছে গিয়েই তার ভুল বুঝতে পারে এবং ক্ষমা ভিক্ষা করে। তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, এ ভাবেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।

  • 3/10

তখন শ্রীকৃষ্ণ বলেন, 'ত্রেতাযুগে মানুষ আমাকে রাম নামে চিনত। রাম সুগ্রীবের বড় ভাই বালিকে গোপনে হত্যা করেছিলেন। তিনি এই জীবনে তার আগের জন্মের শাস্তি পেয়েছেন। আসলে এই জন্মে জরা রূপে জন্ম নিয়েছেন বালি।' এই বলে শ্রীকৃষ্ণ দেহ ত্যাগ করেন। শ্রী কৃষ্ণের মৃত্যুকে কলিযুগের সূচনা বলে মনে করা হয়।

  • 4/10

অর্জুন যখন দ্বারকায় পৌঁছলেন, তিনি দেখলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং বলরাম উভয়েই মৃত। তাদের আত্মার শান্তির জন্য অর্জুন তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। কথিত আছে শ্রীকৃষ্ণ এবং বলরামের সমস্ত শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। কৃষ্ণের হৃদয় ছাই হয়ে যায়নি। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি আজও জ্বলছে।

  • 5/10

পাণ্ডবদের চলে যাওয়ার পর সমগ্র দ্বারকা শহর সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জ্বলন্ত হৃদয়-সহ সবকিছু জলে ভেসে যায়। বলা হয়ে থাকে যে, কৃষ্ণ নগরীর এই ধ্বংসাবশেষ এখনও জলের নীচে বিদ্যমান। কৃষ্ণের হৃদয় লোহার নরম পিণ্ডে পরিণত হয়েছে।

  • 6/10

অবন্তিকাপুরীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ভগবান বিষ্ণুর একজন মহান ভক্ত ছিলেন এবং তাঁর দর্শন পেতে চেয়েছিলেন। একদিন রাতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন যে, ভগবান বিষ্ণু তাঁর কাছে নীল মাধবের রূপে আবির্ভূত হবেন। পর দিন সকালে রাজা নীল মাধবের সন্ধানে রওনা হলেন। যখন তিনি নীল মাধবের দর্শণ পান, তিনি মাধবকে ভগবান জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

  • 7/10

একবার, নদীতে স্নান করার সময়, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন একটি নরম লোহার কৌটা দেখতে পান। জলে ভাসতে থাকা নরম লোহার শরীর দেখে রাজা অবাক হলেন। এই দেহ স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ভগবান বিষ্ণুর আওয়াজ শুনতে পেলেন। ভগবান বিষ্ণু রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে বললেন, 'এটি আমার হৃদয়, যা লোহার নরম দেহ হিসেবে সর্বদা মাটিতে স্পন্দন করবে।'

  • 8/10

রাজা সঙ্গে সঙ্গে সেই দেহটি ভগবান জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যান এবং সাবধানে মূর্তির কাছে রাখেন। রাজা সবাইকে এই দেহ দেখতে বা স্পর্শ করতে নিষেধ করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে যে পিণ্ড আকারে উপস্থিত কৃষ্ণের হৃদয়কে কেউ দেখতে বা স্পর্শ করতে পারেনি।

  • 9/10

বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রী কৃষ্ণের হৃদয় এখনও ভগবান জগন্নাথের মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত। আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। নবকলেবর উপলক্ষে, যখন ১২ বা ১৯ বছরের ব্যবধানে মূর্তি পরিবর্তন করা হয়, তখন পুরোহিতও চোখ বেঁধে থাকেন।

  • 10/10

সাধারণ মানুষের মতো, মন্দিরের পুরোহিতরা সেই দেহটি দেখতে বা তা স্পর্শ করে অনুভব করতে পারেন না। এই মন্দিরটি ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত।

Advertisement
Advertisement