চন্দননগর নীচুপট্টি রাধাগোবিন্দ বাড়িতে কৃষ্ণকে বধ করতে আসা রাক্ষসী পুতনার কোলে শিশু কৃষ্ণ মূর্তির রাক্ষুসীর পুজো।
চন্দননগরে রাধাগোবিন্দ বাড়ি রাক্ষুসে বাড়ি নামে খ্যাত।
এখানে রাধাগোবিন্দের মন্দিরে রাক্ষুসীর অধিষ্ঠান।
তার নিত্য পুজো হয়। মূর্তির কোলে শিশু কৃষ্ণ।
কংস কৃষ্ণকে মারতে পুতনাকে পাঠিয়েছিল। কৃষ্ণকে স্তন পান করিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল পুতনা।
সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় চার পুরুষ আগে। চন্দননগর অধিকারী বাড়িতে।
তাড়কা, সূর্পণখা, হিড়িম্বা, পুতনার মতো রাক্ষসীদের উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে। কিন্তু তাদের পুজো হচ্ছে এমন খুব একটা দেখা যায় না।
লক্ষ্মণ সূর্পণখার নাক কাটায় লঙ্কাকাণ্ড হয়েছিল। আবার তাড়কাকে বধ করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। শ্রীকৃষ্ণকে বধ করতে পুতনার সাহায্য নিয়েছিল কংস।
কংস। হিড়িম্বকে বধ করে হিড়িম্বাকে বিবাহ করেছিলেন ভীম। এমন অনেক কাহিনী রাক্ষসদের নিয়ে রয়েছে। রাক্ষসকুলকে মূলত মনুষ্যকুলের শত্রু হিসাবে মনে করা হয়।
কংস কৃষ্ণকে মারতে পুতনাকে পাঠিয়েছিল, কৃষ্ণকে স্তন পান করিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল পুতনা। সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় চার পুরুষ আগে। চন্দননগর অধিকারী বাড়িতে। রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় চন্দননগরে ফরাসিদের আগমনের আগে।
গৌর অধিকারীর দাদু স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে রাক্ষুসী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। নীচুপট্টি অধিকারী বাড়ির মন্দিরে ঢুকলেই চোখে পড়বে রাক্ষুসী মূর্তি,মনে হবে তার চোখ দুটো জ্বলছে। বড় বড় দুটি দাঁত বেরিয়ে রয়েছে।
দেখলে ভয় লাগে। যদিও তার ভক্তি ভরে পুজো হয়। মন্দিরে ভিতরে রাধাগোবিন্দ, জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার অধিষ্ঠান।
প্রতিদিন নিত্য পুজো হয় তিন বেলা সঙ্গে ভোগ হয়। রাক্ষুসী বাড়ির পরিচিতি হওয়ায় অনেকেই দেখতে আসেন।
তবে জগদ্ধাত্রী পুজো ও রথের সময় সবথেকে বেশি লোক সমাগম হয়। সেই রাক্ষুসী মন্দিরের বর্তমানে ভগ্নদশা। প্রশাসনের কাছে সংস্কারের দাবি জানিয়েছে অধিকারী পরিবার। গৃহকর্ত্রী ছবি অধিকারী বলেন,আমার শ্বাশুড়ির কাছে শোনা, শ্বাশুড়ির শ্বশুড়কে রাক্ষুসী স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলে তাকে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করতে। রাধাগোবিন্দ মন্দিরে সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পুজো হয়ে আসছে। এর প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। গোবিন্দ বাড়ি এখন রাক্ষুসে বাড়ি নামে পরিচিত হয়েছে। এখনও অনেক মানুষ আসেন মন্দিরে। বহু পুরনো এই মন্দিরের সংস্কার প্রয়োজন।
গৌর অধিকারী বলেন, সংস্কারের জন্য চন্দননগর পুর নিগমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।