জ্যোতিষশাস্ত্রে বিবাহের নানা খুঁটিনাটি বিষয় গণনা করে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। ঠিক যেমন, কত বয়সে আপনার বিয়ে হবে বা বিবাহিত জীবন কেমন যাবে— ইত্যাদি। মজার বিষয় হল, জ্যোতিষশাস্ত্রের সাহায্যে আপনার শ্বশুরবাড়ি কত দূরে হবে, তা-ও বিয়ের আগেই ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে ঠিক কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ, সিংহ, বৃশ্চিক এবং কুম্ভ যদি আপনার রাশির সপ্তম ঘরে অবস্থান করে, তবে বিবাহ আপনার বাড়ি থেকে ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে হবে। চন্দ্র, শুক্র ও বৃহস্পতি সপ্তম ঘরে থাকলে জাতক-জাতিকার বিয়ে তাঁর বাড়ির কাছেই হয়।
যদি মেষ, কর্কট, তুলা এবং মকর রাশির সপ্তম ঘরে থাকে তবে আপনার বিবাহ জন্মস্থান থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে হবে। অন্যদিকে, যদি মিথুন, কন্যা, ধনু বা মীন দ্বৈত প্রকৃতিতে অবস্থান করে তবে বিবাহটি বাড়ি থেকে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে হয়।
বিবাহ স্থান অর্থাৎ সপ্তম ঘরের অধিপতি, যাকে সপ্তম ঘর বলা হয়, যদি তা আপনার রাশিতে সপ্তম ঘর এবং দ্বাদশ ঘরের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার বিদেশে বিয়ে হতে পারে। এমনও হতে পারে যে বিয়ের পর বিদেশে যাত্রা বা বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
একটি মেয়ের রাশিফলের দশম ঘরটি তার স্বামীর ঘর। যদি দশম ঘর শুভ গ্রহ দ্বারা সংযোজিত বা অভিমুখ হয় বা দশম অধিপতি দ্বারা অভিভূত বা অভিমুখ হয়, তবে স্বামীর নিজস্ব গৃহ থাকে।
যদি জাতক-জাতিকার জন্মছকের (কুণ্ডলীতে) সপ্তম ঘরে সপ্তম অধিপতি বুধ থাকে, যদি অশুভ গ্রহ (রাহু, কেতু, মঙ্গল, শনি) দেখা না যায় বা তাদের সঙ্গে না থাকে, তবে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সে বিবাহ হয়। এই সব জাতক-জাতিকার ২২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধের শীঘ্রই বিয়ে হয়। যদি আপনার রাশির সপ্তম ঘরে বুধ থাকে তবে আপনার বিবাহের যোগ ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যেই রয়েছে। রাহু বা শনির প্রভাব থাকলে ২-৫ বছর দেরি হতে পারে। অর্থাৎ, ২৭-৩০ বছর বয়সে বিয়ে হয়।
মঙ্গল, রাহু ও কেতুর যে কোনো একটি যদি সপ্তম ঘরে থাকে, তাহলে বিয়ে অনেকদিন পিছিয়ে যেতে পারে। সপ্তম ঘরে যত বেশি অশুভ গ্রহ, বিবাহে দেরি তত বেশি। রাশিফলের সপ্তম ঘরে মঙ্গল ২৭ বছর বয়সের আগে বিয়ে করতে দেয় না। অন্যদিকে, রাহু এখানে থাকলে বিয়ে সহজে হতে দেয় না। অনেক সময় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও সম্পর্ক ভেঙে যায়। কেতু সপ্তম ঘরে থাকলে গোপন শত্রুর কারণে বিবাহে বাধা আসে।