জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শনি নবগ্রহের মধ্যে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির অবস্থান ও দর্শন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারও ভবিষ্যতের কথা জানতে শনির সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা খুব জরুরি। শনি নিষ্ঠুর এবং প্রকৃতির থেকে বিচ্ছিন্ন। যদি রাশিফলে শনি কোনও অশুভ ঘরে থাকে তবে জাতক তার অশুভ ফল পেতে শুরু করে। শনি ধীরে ধীরে সরে যায়, সুতরাং এর ফলাফলগুলিও খুব ধীরে।
শনি এক রাশিতে আড়াই বছর অবস্থান করে। চিহ্ন অনুসারে, শনি দ্বিতীয় এবং দ্বাদশ রাশিতে অবস্থিত হলে অর্ধ শতাব্দীর প্রভাব বিবেচিত হয়। অন্যদিকে, চতুর্থ ও অষ্টমিতে থাকা রাশিচক্রে থাকলে ধায়ার প্রভাব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আধ্যাত্মিক শনি অর্ধ-শতাব্দী এবং ধায়ায় অশুভ শনি জাতককে অসহনীয় বেদনা দেয়। আবার তার অর্ধ-দেড় এবং ধায়া জাতককে প্রচুর উপকার দেয়।
শনি যখন শুভ হয়, একজন ব্যক্তি সর্বদা সুখী কিন্তু অশুভ প্রভাবে উদ্বিগ্ন থাকেন। জ্যোতিষী বিশাল অরোরার কাছ থেকে জানা যায় যে কোন রাশির উপর শনি ২০২১ সালে শনি প্রভাব ফেলবে। এগুলি বাদ দিয়ে আমরা জানব কোন পদক্ষেপের মাধ্যমে শনির অশুভ প্রভাবগুলি হ্রাস করা যায়।
ধনু, মকর এবং কুম্ভের জন্য এ বছরের মাঝামাঝি সময়টা খুব খারাপ যাবে। শনির দৃষ্টিতে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর।
শনির প্রভাব পড়তে চলেছে মিথুন ও তুলা রাশির ওপরেও। রাশিফলের কোন অবস্থানে শনি বসে থাকবে সেই মতো নির্ভর করবে ভাগ্য।
কালো এবং নীল পোশাক পরবেন না। প্রতিটি মাসের প্রথম শনিবারে গরীবদের কালো বা নীল কম্বল দান করুন।
সাত শনিবার শনি মন্দিরে ৭টি আমন্ড নিবেদন করুন। শনিবার ভান্ডারায় কয়লা দান করুন। প্রতি শনিবার দেড় কেজি কালো ছোলা, ডাল, গোলমরিচ, লোহার পেরেক, কালো কাপড়ে জড়িয়ে জলে ভাসিয়ে দিন।
শনির অশুভ প্রভাব কমাতে প্রতিকার হিসেবে শনিবার কিছু দান করুন। কিংব লোহার পাত্রে তেল ভর্তি করে তাতে আপনার মুখটি দেখার পর শনি মন্দিরে সেই তেলের বাটিটি দান করুন।
প্রতি শনিবার চিনি মিশ্রিত ময়দা মিশিয়ে পিপুল গাছে জল দিন করুন। প্রতিদিন শনির মন্ত্র জপ করুন। এর বাইরে অবশ্যই দশরথ শনি স্ত্রোত্র পড়ুন।
প্রতি সোম ও শনিবার কালো তিলের সঙ্গে মিশ্রিত জল শিবের মাথায় ঢালুন। শনির প্রভাব কমবে।