Advertisement

ধর্ম

মহালয়া থেকে শুরু হয়ে লক্ষ্মীপুজোয় শেষ হয় কংসবণিকদের দুর্গাপুজো

মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 12 Sep 2021,
  • Updated 9:50 AM IST
  • 1/8

বৈদিক রীতি মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে মালদা শহরের অন্যতম প্রাচীন দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজো ৷ এবার এই মন্দিরের পুজো ১৪৮ বছরে পা দিচ্ছে ৷ এই পুজো ঘিরে রয়েছে অনেক কাহিনি ৷ তবে মালদা জেলার গ্রাম ও শহরের মানুষ পুজোর ৪ দিনের মধ্যে অন্তত একদিন এই পুজো দেখতে ভিড় করেন ৷
 
 

  • 2/8

১২৭৫ বঙ্গাব্দে মালদা শহরের নেতাজি সুভাষ রোডে আদি কংসবণিক দুর্গাবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ তার অনেক আগে থেকেই এই পুজো চালু ছিল বলে উদ্যোক্তাদের দাবি ৷

  • 3/8

পুজো কমিটির বর্তমান সভাপতি উত্তমকুমার দাস বলেন, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয় ৷ সেই সময় শহরের বাবুপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন এক বৃদ্ধা ৷ একদিন তিনি স্বপ্নাদেশ পান ৷

  • 4/8

মা তাঁকে জানান, এলাকার নিমতলা ঘাটে তিনি পাথর রূপে বিরাজ করছেন ৷ তাঁকে যেন মহানন্দা নদী থেকে উঠিয়ে এনে পুজো করা হয় ৷ দেবীর আদেশ পেয়ে সেই বৃদ্ধা পরদিন নিমতলা ঘাটে গিয়ে মহানন্দা নদী থেকে ওই পাথরটিকে তুলে নিয়ে আসেন ৷

  • 5/8

ঘাটেই নিমগাছের নীচে তিনি সেই পাথরটি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ সেখানেই প্রথম শুরু হয় দেবীর পুজো ৷ পরবর্তীতে কোনওভাবে সেই পাথরটি চলে যায় বর্তমান বিনয় সরকার রোডে অবস্থিত তৎকালীন জমিদার গিরিজানন্দ দাসের বাড়িতে ৷ গিরিজানন্দই সেই পুজো চালাতেন ৷

  • 6/8

কিন্তু একসময় জমিদার গিরিজানন্দ বুঝতে পারেন, তাঁর পক্ষে বেশিদিন মায়ের পুজো চালানো সম্ভব নয় ৷ সে কারণে তিনি পাথরে প্রতিষ্ঠিত দেবীকে কংসবণিক সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দেন ৷ সেটা ১২৭৫ বঙ্গাব্দ ৷ সেবছরই দুর্গাবাড়িতে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ৷ তখন থেকে এখনও অবিচ্ছিন্নভাবে দুর্গাপুজো এখানে হয়ে আসছে ৷ 

  • 7/8

দুর্গাবাড়ির দুর্গাপুজোর কতগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে ৷ মহালয়ার ভোরে ঘটপুজোর মধ্যে দিয়ে পুজো শুরু হয় এখানে ৷ লক্ষ্মীপুজোতে এখানকার পুজোর পরিসমাপ্তি ঘটে ৷ এতদিন ধরে কোথাও দুর্গাপুজোর চল রয়েছে কিনা তা জানা যায় না ৷ সপ্তমীর দিন সকালে সেই নিমতলা ঘাটেই দেবীর ঘট ভরা হয়৷ পুজোতে অন্নভোগের প্রচলন নেই ৷ আড়াই কিলো আটার ঘিয়ে ভাজা লুচি দিয়ে ভোগ তৈরি হয় ৷ বাসন্তী পুজোতে সোওয়া কিলো আটার লুচির ভোগ হয় এখানে ৷

 

  • 8/8

এখানকার দেবীমূর্তিকে ঘিরে থাকে আরও ২২টি মূর্তি ৷ উত্তমবাবু জানালেন, কংসবণিক সম্প্রদায়ের ২৩৬টি পরিবার এই পুজোর আয়োজন করে থাকে ৷ এই পুজোতে কোথাও থেকে কোনও চাঁদা সংগ্রহ করা হয় না ৷ পুজোর ৪ দিন অসংখ্য মানুষ মন্দিরে আসেন ৷ এই পুজো না দেখলে বোধহয় সবারই পুজো দর্শন অপূর্ণ থেকে যায় ৷

Advertisement
Advertisement