শুরু হয়েছে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। দুপুর ১:৪২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:৪১ মিনিট পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ থাকবে। গ্রিনল্যান্ড ও কানাডা সহ উত্তর অক্ষাংশ থেকে পুণ্যগ্রাস গ্রহণ দৃশ্যমান হবে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু অংশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশ থেকে শুধুমাত্র এটি দৃশ্যমান হবে। আজকের গ্রহণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক নজরে দেখে নিন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে সূতক কালের গুরুত্ব অনেক। গ্রহণের ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে থেকে সূতক কাল শুরু হয়। এই সময়ে কোনও শুভ কাজ করা উচিত না। এমনকি এই সময়কালে পুজো করাও অশুভ। সুতরাং এইবার সূতক কাল ভারতে কার্যকরী হবে শুধুমাত্র লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে। তাই অন্যান্য স্থানে পুজো বা কোনও শুভ কাজে কোনও বাধা নেই।
জ্যোতির্বিদ্যা অনুসারে সূর্যগ্রহণ একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ মহাজাগতিক ঘটনা। তাই প্রকৃতি, পশু -পাখি ও মানুষের ওপর এর প্রভাব পরে। সেজন্যেই জ্যোতিষ আচার্যরা সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন। যা মেনে না চললে নেমে হতে পারে ঘোর বিপদ।
এই সময়ে কায়িক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। শুধু তাই নয় অত্যাধিক মানসিক চাপ হতে দেবেন না। সূর্যগ্রহণ চলাকালীন আগুন ও কোনও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা কার্যত নিষিদ্ধ। গ্রহণ দেখা না গেলেও এই জিনিসগুলি মেনে চলা উচিত।
যাঁদের সূর্যের মহাদশা রয়েছে কুষ্ঠিতে, তাঁদের সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করা উচিত। ভজন- কীর্তন এবং ইশ্বরের নাম জপ করা ভাল এই সময়।
বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যই আত্মা ও মনের মূল জিনিস। গ্রহণের সময় সূর্যের কষ্টের কারণে বিরোধ এবং নেতিবাচকতা দেখা যায়। একটি সূর্যগ্রহণের প্রভাব ছয় মাস পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে।
এই নেটিবাচক প্রভাব কাটাতে আমাদের চারিপাশে পজিটিভ এনার্জি বৃদ্ধির প্রয়োজন। রাশিচক্রে রাহু ও কেতুর সঙ্গে সূর্যের অবস্থান, গ্রহণের খারাপ দিকগুলি তৈরি করে। আর এজন্যেই বিভিন্ন ভাবে প্রভাব পরে জীবনে।
যে সমস্ত ব্যক্তিদের রাশিচক্রতে সূর্য দেবতার খারাপ প্রভাব আছে, তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত সূর্যগ্রহণের সময়। সেই সঙ্গে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করুন।
গ্রহণদের খারাপ প্রভাবে কোনও ব্যক্তি মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং তাঁর আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে এসে থাকতে পারে।