জ্যোতির্বিদ্যার দিক থেকে এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই বছর মোট চারটি গ্রহণ হবে। এর মধ্যে দুটি সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse) এবং দুটি চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। যদি ভারত থেকে এই গ্রহণের সবকটি সম্পূর্ণ রূপে দৃশ্যমান হবে না।
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ২৬ মে, যা ভারতের বেশিরভাগ অংশে দেখা যায়নি। আগামী ১০ জুনের সূর্যগ্রহণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে চলেছে। যেহেতু এই গ্রহণটি ভারতের সর্বত্র দৃশ্যমান হবে না, তাই সুতক সহ ধর্মীয় বিধিও প্রযোজ্য হবে না।
জ্যোতিষ আচার্য পণ্ডিত দীপক মালব্যর মতে, সূর্যগ্রহণ সেভাবে কার্যকরী হবে না তাই সূতক কাল হিসাবে এটি বিবেচিত হবে না। ফলস্বরূপ ১০ জুন বট সাবিত্রী ও শনি জয়ন্তী উদযাপনে কোনও বাধা থাকবে না। সেই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যেই দুটি গ্রহণের ঘটনাটিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচনা করছেন।
জ্যোতিষ আচার্য জানান, জ্যোতিষশাস্ত্রে ১৫ দিনের মধ্যে দুটি গ্রহণ হওয়াকে অসঙ্গত বলে মনে করা হয়। এই কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তে পারে। এগুলি ছাড়াও এটি রাশিগুলির ওপর শুভ এবং অশুভ প্রভাব ফেলে। ১৫ দিনের মধ্যে এই গ্রহণের প্রভাবটি পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।
আগামী ১০ জুন দুপুর ১:৪২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬:৪১ মিনিট পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ থাকবে। এই গ্রহণটি উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর কানাডা, গ্রিনল্যান্ড ও রাশিয়ায় আংশিকভাবে দৃশ্যমান হবে।
এই সূর্যগ্রহণের প্রভাব বৃষ এবং মৃগশিরা নক্ষত্রমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে। এটি একটি বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে। যখন সূর্যের বহিঃসীমা ছাড়া বাকি অংশ চাঁদের দ্বারা ঢেকে যায়, তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। অর্থাত্ পৃথিবী থেকে কেবল সূর্যের বহিঃসীমা নজরে আসে। দেখে মনে হয়, ঠিক যেন একটা আংটি। একে রিং অফ ফায়ারও বলা হয়ে থাকে।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ সবথেকে কম দেখা যায়। কারণ এই গ্রহণের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের সঙ্গে চাঁদের দূরত্ব নির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন। ২০২১ সালের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ হবে আগামী ৪ ডিসেম্বর এবং এটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে।
বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ কেবলমাত্র অ্যান্টার্কটিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, আটলান্টিকের দক্ষিণ অংশ, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে দৃশ্যমান হবে।