প্রত্যেকের জীবনেই এমন একটি সময় আসে, যখন হাজার চেষ্টা করেও কোনো কাজেই সফলতা পাওয়া যায় না। পদে পদে বাধা, শারীরিক ও মানসিক ভাবে কোনও ব্যক্তিকে বিপর্যস্ত করে তোলে। বাস্তু দোষেও এ সব হতে পারে।
বাস্তুশাস্ত্রে ঘড়ির অবস্থান ও তার আকার আকৃতিরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ঘরের কোথায় ঘড়ি রাখবেন? কোথায় ঘড়ি রাখা বাস্তুর জন্য মোটেই শুভ নয় জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
ঘড়ি কোথায় রাখবেন না: ঘড়ি কখনই দক্ষিণ দিকে রাখা উচিত নয়। ফেং শুই এবং বাস্তু মতে, দক্ষিণ দিক অশুভ বলে মনে করা হয়। এই দিকে নেতিবাচক শক্তি থাকে। যদি দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ঘড়ি থাকে, তাহলে তা বাস্তুর জন্য মোটেই শুভ নয়।
ঘড়ি কখনই সরাসরি প্রধান দরজার সামনে বা দরজার উপরে রাখা উচিত নয়। এর নিচ থেকে বেরিয়ে আসার সময়, ব্যক্তির চারপাশের শক্তি প্রভাবিত হয়। ফলে উত্তেজনা বাড়ে। ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে বা পাশে ঘড়ি রাখা উচিত নয়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, শরীর-স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
দেয়ালে ঘড়ি রাখার জন্য উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিম দিক শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিক ইতিবাচক শক্তি প্রদান করে। আপনি যদি ড্রয়িং রুম বা বেডরুমে ঘড়িটি এমনভাবে রাখুন, যাতে আপনি ঘরে প্রবেশ করলেই ঘড়িটি দেখতে পান। এছাড়াও ঘড়িতে ধুলো এবং ময়লা জমতে দেবেন না।
বাড়ির প্রধান দরজার উপরে ঘড়ি রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ঘড়ি মেরামত করুন। ঘড়ি নষ্ট হলে ঘরে রাখবেন না। ঘরে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঘড়ি রাখবেন না। কাউকে কখনওই ঘড়ি উপহার দেওয়া উচিত নয়।
বাড়ির পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম দিকে একটি ঘড়ি রাখুন। বাড়ির ড্রয়িংরুমে একটি পেন্ডুলাম ঘড়ি রাখুন। এটি ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে। বৃত্তাকার, আয়তক্ষেত্রাকার ঘড়ি শুভ প্রভাব নিয়ে আসে।
ঘড়ির আকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, অষ্টভুজাকার এবং ষড়ভুজাকার এবং আয়তক্ষেত্রাকার ঘড়িগুলি শুভ প্রভাব নিয়ে আসে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।