ঘড়ি শুধু সময় জানায় না, হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এটি ভবিষ্যত সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয়। যদি ঘড়ি ভুলভাবে ব্যবহার করা হয় তবে, এটি সংসারের উন্নতি, উপার্জনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বাস্তু দোষও কোনও পরিবারে বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্রে ঘড়ির আকার আকৃতি ও তার অবস্থানেরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ঘরের কোথায় ঘড়ি রাখবেন? কোথায় ঘড়ি রাখলে সংসারের উন্নতি, উপার্জন থমকে যেতে পারে তা জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
অনেকে তাদের বাড়িতে এমন একটি ঘড়ি রাখেন, যা প্রবেশ করলেই প্রথম চোখে পড়ে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এটিকে অশুভ বলে মনে করা হয়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আগে ঘড়ি দেখা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ ভালো এবং খারাপ সময় দুটোই ঘড়িতে আটকে থাকে।
ঘরের দক্ষিণ দিকে কখনই ঘড়ি রাখা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে ঘরে দারিদ্র্য আসে। এই কোণটিকে বাস্তুশাস্ত্রে অশুভ মনে করা হয়েছে। দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ঘড়ি রাখলে অর্থ নষ্ট হয়, উপার্জন কমে যায়। ঝামেলা, অশান্তি বাড়ে এবং সংসারে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে কখনই ভাঙা ঘড়ি রাখা উচিত নয়। এমনটা করলে সাফল্যের পথে বাধা আসে। একটি ভাঙা ঘড়ি রাখার ফলে অর্থের ক্ষতিও হতে পারে। মা লক্ষ্মীও ঘরে থাকেন না।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে কখনই বন্ধ ঘড়ি ঝুলিয়ে রাখবেন না। এটি করলে ঘরে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পায়। ঘরে বন্ধ ঘড়ি রাখলে সংসারের ভাগ্যও থমকে যায়। আর্থিক বিপর্যয় বেড়ে যায়। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং বাস্তুশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না। কোনও তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।