Vastu Tips: অনেক সময় দেখা যায়, পরিশ্রমের পরও সাফল্য পাওয়া যায় না, বা আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। সারা বছর পড়াশোনার পর পরীক্ষার সময়টা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, পড়াশোনায় করেও তেমন ফল মেলে না। এর জন্য একাগ্রতার অভাবও দায়ী।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কিছু জিনিসের যত্ন নিলে একাগ্রতা বাড়ানো যায়। এছাড়াও, বাস্তুর নিয়মের ভিত্তিতে সঠিক পথে পড়াশোনা করাও পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কার্যকর।
বাস্তু অনুসারে শিশুদের পড়াশোনার ঘর উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত। পড়াশোনার সময় শুধুমাত্র উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করুন।
বাস্তু অনুসারে, কখনও স্তম্ভের নীচে বসে পড়াশুনা করা উচিত নয়। এ কারণে সে পড়ালেখায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না।
শিশুর পড়ার টেবিলে গ্লোব বা তামার পিরামিড রাখা দরকার। এটি পড়াশোনায় মন এবং মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করে।
যেসব শিশুদের পড়াশুনা করতে ভালো লাগে না, তাদের ঘরে ময়ূরের পালক বসানো উচিত। এতে একাগ্রতা বাড়ে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বজায় থাকে।
স্টাডি রুমে টিভি, ভিডিও গেমস এবং সিডি প্লেয়ারের মতো জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়। এসব নিয়ে পড়ালেখা থেকে মন ঘুরে যায়।
শিশুদের চেয়ারের পেছনের অংশ মাথার চেয়ে উঁচু হতে হবে। বই পড়ার সময় সামনে স্তুপ করে রাখা উচিত নয়, শুধু যে বইটি পড়তে চান তা রাখুন।
পড়ার সর্বোত্তম সময় হল ব্রাহ্ম মুহুর্ত অর্থাৎ ভোরে ঘুম থেকে উঠে পাঠ করা। সকালে পড়া জিনিসগুলো অনেকক্ষণ মনে থাকে। স্টাডি রুমে গাঢ় রং ব্যবহার করা উচিত নয়।
স্টাডি রুমে প্রাকৃতিক আলোর উৎস থাকতে হবে। এটি স্মৃতিশক্তিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।