প্রত্যেক মানুষ চায় তার জীবন আরামদায়ক হোক। যার জন্য তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেন। কিন্তু অনেক সময় লক্ষ চেষ্টা করেও যখন সফলতা পাওয়া যায় না, তখন সেটাকে ভাগ্যের দোষ বলে মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্রে এমন কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা অবলম্বন করলে ভাগ্য শক্তিশালী হয়।
বাস্তুশাস্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কারণ, অনেকেই ধীরে ধীরে বাস্তুশাস্ত্রের কার্যকারীতা সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। মানুষের জীবন নানা সমস্যা, জটিলটায় ভরা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রহ দোষ না থাকলেও সংসারে পদে পদে বাধা-বিপত্তি আসছে। তখন বুঝতে হবে, বাড়িতে কোনও রকম বাস্তু দোষ রয়েছে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, যদি কিছু বিশেষ উপায়ে জলকে কাজে লাগানো যায় বা কিছু বিশেষ জিনিসের যত্ন নেওয়া যায়, তাহলে সংসারের প্রবল অর্থ সঙ্কটও সহজেই কাটিয়ে ওঠা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন উপায়ে জল সংসারের অর্থ সঙ্কট কাটিয়ে সৌভাগ্য ফেরাতে সহায়ক হতে পারে...
মাটির পাত্র হিন্দুধর্মের পূজারও একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে জলভর্তি মাটির পাত্র বা মাটির কুঁজো রাখলে সংসারে কখনও অর্থের অভাব হয় না।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, জলভর্তি মাটির পাত্র বা মাটির কুঁজো রাখার জন্য উত্তর দিকই সবচেয়ে ভালো। উত্তর দিককে জল দেবতার দিক বলে মনে করা হয়।
যদি মাটির কুঁজো পাওয়া না যায়, তবে একটি ছোট মাটির পাত্র বাড়িতে রাখাও উপকারী! তবে এটি সর্বদা জলে ভরা উচিত।
ঘরের মাটির ছোট পাত্র রাখলে সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা বজায় থাকে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঘরে মাটির জল ভর্তি পাত্রের সামনে প্রদীপ রাখলে আর্থিক অনটনও দূর হয়।
যদি আপনার অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা থাকে তবে আপনি জল ভর্তি মাটির পাত্রের কাছে একটি প্রদীপ জ্বালান, এটি আর্থিক সমস্যা দূর করে।