বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরে রাখা সমস্ত কিছু আমাদের জীবনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমরা ঘরে রাখা বেশ কিছু জিনিসের প্রতি তেমন ভাবে মনোযোগ দিই না এবং হয়তো ওই জিনিসগুলিই বাড়িতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
রাহু-কেতু এবং শনি এমন জিনিসগুলিতে বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয় না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, ঘরে রাখা এই জিনিসগুলি সংসারে কলহ, আর্থিক অনটন বাড়ায়।
এর ফলে মানুষকে মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়তে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তু অনুসারে ঘরে কোন ৩টি জিনিসগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
বন্ধ ঘড়ি- দেয়ালে টাঙানো ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ অনেক সময় তা খুলে ঘরের কোনায় রেখে দেন।
বাস্তু মতে, ঘরে রাখা যে কোনও বন্ধ ঘড়ি সংসারে জন্য খারাপ সময় বা অমঙ্গল ডেকে আনে। শুরু হয় চরম অর্থকষ্ট, বাড়ে ধার-দেনা। এই ধরনের ঘড়িগুলো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে ভালো হবে।
মরচে পড়া জিনিস- ঘরে পড়ে থাকা পুরনো লোহার সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে মরচে পড়তে শুরু করে। বাস্তু মতে, এই ধরনের জং ধরা সরঞ্জাম, জিনিসপত্র ঘরে রাখলে সংসারে আর্থিক অনটন ও নানা রকম সমস্যা বাড়ে। বাস্তু অনুসারে, জং ধরার পরে সরঞ্জামগুলি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
অন্ধকারে পুরানো পিতলের পাত্র- প্রায়শই লোকেরা স্টোর রুম বা রান্নাঘরে একটি বন্ধ জায়গায় পুরানো পিতলের বাসন রাখে। এই পাত্রগুলি অন্ধকারে রাখলে, শনি সেগুলিতে প্রবেশ করে এবং জীবনে সমস্যা আসতে শুরু করে। শনির অশুভ দৃষ্টির কারণে জীবনে নানা রকম সমস্যা আসতে শুরু করে।
এই প্রতিবেদন সার্বিক গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তি বিশেষে ফল ভিন্ন হতে পারে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না বা উল্লেখিত তথ্যগুলি যাচাই করে দেখেনি।