১৫ এপ্রিল থেকে বৈশাখ মাস শুরু। ভারতীয় হিন্দুদের ক্যালেন্ডার শুরু হয় বৈশাখ মাস থেকে। ধর্মীয় দিক থেকে বছরের শেষ মাস চৈত্র খুব শুভ। চৈত্র নক্ষত্রের জন্য এর নাম চৈত্র। বসন্তের শেষ বোঝায় চৈত্র এবং বৈশাখে গ্রীষ্মের সূচনা হয়। জ্যোতিষচার্য অরুনেশ কুমার শর্মার জানালেন কেমন কাটবে নতুন বছর।
জ্যোতিষীদের মতে, লগ্নে মঙ্গল হল রাহুর সংমিশ্রণ। গন্তব্যস্থলে ভগবান শিব ন্যায়বিচারের প্রভু। কর্মস্থানের দেবতা বৃহস্পতি। সমস্ত গ্রহ রাহু-মঙ্গল এবং কেতুর লগ্ন থেকে একপাশে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কিছু গ্রহের পৃথিবীর ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে। পাপী গ্রহের প্রভাব দেশের মানুষের স্বাস্থ্য, মনোবল এবং সমৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করবে। জনসমক্ষে উৎসাহের অভাব থাকবে। অর্থনৈতিকভাবে, এই বছরটি ভারতে ভারসাম্যহীনতার সূচক। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে আয়ের সংকটও বাড়তে পারে।
পূর্বের রাজ্যগুলিতে রাজনৈতিক আন্দোলন বাড়বে। পশ্চিম এবং উত্তর ভারতে ফসল কম হতে পারে। সেই তুলনায় দক্ষিণ ভারতে প্রচুর সম্পদ থাকবে। ভারতে বাণিজ্য হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আধিক্য থাকতে পারে। প্রশাসনের মনোভাব জনসাধারণের প্রতি দন্ডনীয় হবে।
গুরুর প্রভাব বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনতে পারে। বাজারে উন্নতির সম্ভাবনা থাকবে। সুসংহত সংগঠিত শিল্পগুলি প্রভাবিত হবে। অসংগঠিত খাতের শর্তগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে।
কিছু স্থানে সূর্য, চন্দ্র এবং বুধের অবস্থান যুবকদের মধ্যে উৎসাহ এবং সহযোগিতার মনোভাব বজায় রাখবে। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিষয়ে ইতিবাচক প্রভাব থাকবে।
পঞ্চং ও হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী বিক্রমাদিত্য যুগ - ভারতীয় ক্যালেন্ডার সূর্য এবং চন্দ্রের অবস্থান অনুযায়ী গণনা করা হয়। মনে করা হয় যে, বিক্রমাদিত্যযুগে ক্যালেন্ডার বা পঞ্চংয়ের ধারা ভারত থেকেই শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া বছরে ১২ মাস এবং সপ্তাহে ৭ দিনও এই থেকেই বিবেচনা করা হয়।
আজও হিন্দু বর্ষপঞ্জি অনুসারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়া মহামানবদের শুভ সময় ও জন্মবার্ষিকীও এই পঞ্জিকা অনুসারে পালিত হয়। এই দিনটিতে, গোটা দেশে বিভিন্ন উৎসব পালন হয়।
(ছবি সৌজন্য- গেটি)