প্রাচীন ভারতের মহাপণ্ডিত আচার্য চাণক্য ছিলেন একাধারে সর্বশাস্ত্রজ্ঞ, কূটনীতিজ্ঞ, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। তিনি যে কোনও বিষয়ের গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করতে জানতেন। জীবনকে বাস্তবতার নিরিখে পরিমাপ করতেন তিনি। সেই কারণে এত হাজার বছর পরেও তাঁর উপদেশ আজও সমান ভাবে কার্যকরী ও উপযোগী।
চাণক্যের সাফল্যের নীতিগুলি আধুনিক সময়েও প্রাসঙ্গিক। তাঁর উপদেশ মানলে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পারে। আচার্য চাণক্যকে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্বামী-স্ত্রীয়ের বয়সের কতটা পার্থক্য থাকা উচিত, এই নিয়ে বলেছেন চাণক্য।
আচার্য চাণক্যর মতে, স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে বয়সের খুব বেশি পার্থক্য থাকা উচিত নয়। তিনি বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্বামী-স্ত্রীয়ের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দু'জনের বয়সের বড় পার্থক্য থাকলে জীবনে সমস্যা দেখা দেয়। তাঁর মতে, একজন বয়স্ক ব্যক্তির ভুল করেও বেশি ছোট মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয়।
চাণক্যের মতে, এই ধরনের মিলন বেশিদিন স্থায়ী হয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই বিয়ে ভাঙার সম্ভাবনা থাকে। স্বামী-স্ত্রীয়ের বয়সের ব্যবধান যদি খুব বেশি হয়, তাহলে তা তাদের দু'জনের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। দু'জনের বয়সের বিরাট পার্থক্যের কারণে তাদের মানসিকতাও বেশ ভিন্ন হয়। আর এই ভিন্ন মানসিকতা অচিরেই সম্পর্ককে দুর্বল করে দেয়।
তাঁর মতে, স্বামী-স্ত্রীয়ের বয়সের পার্থক্য যদি ৩ থেকে ৫ বছর হয়, তাহলে উভয়ের মানসিকতায় খুব একটা পার্থক্য থাকে না। দু'জনের বয়সের ব্যবধান এরকম হলে, তারা একে অপরকে ভাল বোঝে। সম্পর্ক সবসময় মজবুত থাকে।