
কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলির পালা শেষ। এবার উৎসবে মেতে ওঠার পালা চন্দননগর, কৃষ্ণনগরের। যদিও চন্দননগর নয়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে কৃষ্ণনগরে প্রথম শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। যদিও আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমার জন্য জনপ্রিয়তায় কৃষ্ণনগরকে ছাপিয়ে গেছে চন্দননগর। যে কারণে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর এত জনপ্রিয়তা।
চন্দননগরে কীকরে শুরু হল জগদ্ধাত্রী পুজো?
ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতির সময় ব্রিটিশদের ঘনিষ্ঠ রাজাদের বন্দি করেন মীরকাশিম। সেই তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর পুত্রও। পরে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি মনমরা হয়ে পড়েন। এরপরই দেবী জগদ্ধাত্রী পুজো করার স্বপ্নাদেশ পান তিনি। সেই মতোই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। এরপর এই পুজোই গঙ্গাপার করে চন্দননগরে পৌঁছে যায়।
কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন। নবমী ও দশমীতে দেবীর পুজোর মূল আরাধনা ও জাঁকজমকভাবে বিসর্জন পর্ব চলে। আলোকসজ্জার জন্য চন্দননগর এগিয়ে থাকলেও কৃষ্ণনগরে 'বুড়ি মা' ছাড়াও বেশ কিছু জনপ্রিয় পুজো রয়েছে।
কৃষ্ণনগরে জনপ্রিয় জগদ্ধাত্রী পুজোগুলির তালিকা-
কৃষ্ণনগরের অনেক বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যে রয়েছে চাষাপাড়ার বুড়িমার পুজো, যা শহরের অন্যতম প্রাচীন বিখ্যাত পুজো। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো, পাত্র বাজার স্বীকৃতি ক্লাবের পুজো, বউবাজার বারোয়ারি, রায়পাড়া মালিপাড়া বারোয়ারি, ঘূর্ণি দাসপাড়া বারোয়ারি, শিবতলা বারোয়ারি, কালীনগরের রেনবো ক্লাব এবং শক্তিনগরের পাঁচমাথা মোড় বারোয়ারি-র মতো আরও কিছু বিখ্যাত পুজো রয়েছে।
চন্দননগরে গেলে কোন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলি দেখবেন?
মানকুণ্ডু স্টেশন থেকে সার্কাস মাঠ সর্বজনীন, চারাবাগান বালক সঙ্ঘ সর্বজনীন, পালপাড়া সর্বজনীন, তেঁতুলতলা জগদ্ধাত্রী পুজো, নতুনপাড়া, অম্বিকা অ্যাথলেটিক ক্লাব, চন্দননগর হেলাপুকুর সর্বজনীন, বাগবাজার সর্বজনীন, বোড় তালডাঙা, বোড় কালীতলা, চাউলপট্টি সর্বজনীন, নিয়োগী বাগান জগদ্ধাত্রী পুজো, চন্দননগর ফটকগোড়া জগদ্ধাত্রী পুজো, তেমাথা সর্বজনীন। চন্দননগর গেলে এগুলি অবশ্যই দেখে আসবেন।