Amarnath Yatra 2025 Date: এবার অমরনাথ যাত্রা ৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে এবং ৯ অগাস্টের মধ্যে শেষ হবে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর অমরনাথ যাত্রা শ্রাবণ মাসে শুরু হয় এবং শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিতে শেষ হয়। অমরনাথ ধাম ভক্তদের জন্য ধর্মীয় মাহাত্ম্য এবং পুণ্যের যাত্রা। যারা এই যাত্রা সম্পর্কে জেনেছেন বা শুনেছেন, তারা অবশ্যই অন্তত একবার সেখানে যেতে চান। ৬২ দিনব্যাপী অমরনাথ যাত্রার জন্য ১৪ এপ্রিল থেকে অফলাইন এবং অনলাইন পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। তারিখের পাশাপাশি, যাত্রার জন্য প্রয়োজন এমন সমস্ত বিস্তারিত বিষয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া কী?
এই বছর অমরনাথ যাত্রা ৩ জুলাই ২০২৫ থেকে ৯ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। এই যাত্রার জন্য রেজিস্ট্রেশন ১৪ এপ্রিল ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে। তীর্থযাত্রীরা শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অফলাইন এবং অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ডের ভারত জুড়ে ৫৪০ টিরও বেশি ব্যাঙ্ক শাখা রয়েছে যেখান থেকে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং সেখানে 'অনলাইন সার্ভিসে '-এ ক্লিক করুন। এরপর ড্রপডাউন মেনুতে 'ট্রাভেল পারমিট রেজিস্ট্রেশন'-এ ক্লিক করুন। সমস্ত নির্দেশাবলী মনোযোগ সহকারে পড়ুন, শর্তাবলীতে সম্মত হন এবং নিবন্ধনের জন্য এগিয়ে যান। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং আপনার ভ্রমণের তারিখ লিখুন। আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং হেলফ সার্টিফিকেটের একটি স্ক্যান কপি আপলোড করুন। এরপর, আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বরে প্রাপ্ত OTP প্রদান করে আপনার মোবাইল যাচাই করুন। তারপর, ২২০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি প্রদান করুন। পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পরে, আপনি পোর্টাল থেকে আপনার ভ্রমণ রেজিস্ট্রেশন পারমিট ডাউনলোড করতে পারেন।
অফলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া
যদি তীর্থযাত্রীরা অফলাইনে নিবন্ধন করতে চান, তাহলে তারা নিবন্ধন কেন্দ্র বা ব্যাঙ্ক শাখায় যেতে পারেন। সাধারণত, যাত্রার নির্ধারিত দিনের তিন দিন আগে বৈষ্ণবী ধাম, পঞ্চায়েত ভবন এবং মহাজন হলের মতো জায়গায় টোকেন স্লিপ বিতরণ করা হয়। তীর্থযাত্রীদের পরের দিন সরস্বতী ধামে যেতে হবে আনুষ্ঠানিক রেজিস্ট্রেশন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য। তীর্থযাত্রীদের জম্মুর নির্দিষ্ট স্থান থেকে তাদের RFID কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
বাবা বরফানির মাহাত্ম্য
বাবা বরফানির মহিমা অপরিসীম। বাবা বরফানি অমরনাথ এবং অমরেশ্বর নামেও পরিচিত। অমরনাথজীর আশ্রয় আসা ভক্তরা শিবলোকে স্থান পান। এছাড়াও, পৃথিবীতে সকল প্রকার সুখ পাওয়া যায়। প্রতি বছর, দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্ত বাবা বরফানির দর্শন পেতে এবং তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে অমরনাথে আসেন। অমরনাথ গুহায় উপবিষ্ট বাবা বরফানি একটি প্রধান ধর্মীয় স্থান। হিন্দু ধর্মে এটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং এটি একটি পবিত্র যাত্রা হিসেবে বিবেচিত হয়। অমরনাথ গুহায় একটি প্রাকৃতিক শিবলিঙ্গ রয়েছে, যা বরফ দিয়ে তৈরি এবং চাঁদের পর্যায় অনুসারে বৃদ্ধি এবং হ্রাস পেতে থাকে।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান শিব এই গুহায় দেবী পার্বতীকে অমরত্বের গল্প বলেছিলেন, যা এই গুহাটিকে আরও পবিত্র করে তুলেছিল। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বাবা বরফানির দর্শন করে এবং অমরনাথ যাত্রা করলে ভক্তদের পাপ বিনষ্ট হয় এবং তারা মোক্ষ লাভ করেন। ভক্তরা বাবা বরফানির দর্শন করে তাদের ইচ্ছা পূরণের আশা করেন। সনাতন ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে যে অমরনাথ যাত্রা করলে অশ্বমেধ যজ্ঞের মতোই পুণ্য পাওয়া যায়। আরও বলা হয় যে, অমরনাথ ভ্রমণ করলে একজন ব্যক্তি ২৩টি তীর্থস্থান পরিদর্শনের সমান পুণ্য লাভ করেন।