Advertisement

Bansuri Vastu: বাড়িতে এভাবে একটা বাঁশি রাখুন, সম্পদ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে ভরে থাকবে জীবন

Bansuri Vastu Tips For Home: বাঁশি কোনও সাধারণ জিনিস নয়, বরং এটি একটি মাধ্যম যা শক্তি উৎপন্ন করে। এটিকে ঘরের সঠিক স্থানে সঠিক উপায়ে রাখলে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, পরিবারে ভালোবাসা বজায় থাকে এবং মানসিক শান্তি অর্জিত হয়।

ঘরে বাঁশি রাখার উপকারিতা প্রচুরঘরে বাঁশি রাখার উপকারিতা প্রচুর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 13 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:29 PM IST

Keeping Flute In House Benefits: ভারতীয় সংস্কৃতিতে, বাঁশি কেবল একটি বাদ্যযন্ত্র নয় বরং একটি ঐশ্বরিক এবং শুভ প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির শব্দ গোপীদের মনকে মোহিত করেছিল এবং সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডকে দেবভূমির অনুভূতি দিয়েছিল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে বাস্তুশাস্ত্র এবং ফেং শুই অনুসারে, ঘরে বাঁশি রাখলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচক শক্তি আসে।

মানসিক চাপ বা মানসিক অশান্তির প্রতিকার
যদি আপনার জীবনে অর্থের অভাব, কলহ, চাপ বা মানসিক অস্থিরতা থাকে, তাহলে এই ছোট্ট প্রতিকারটি চমৎকার করতে পারে। ঘরে বাঁশি রাখার সুবিধা কী, কোথায় এবং কীভাবে রাখবেন এবং কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত তা জেনে নিন।

বাঁশির আধ্যাত্মিক ও প্রতীকী তাৎপর্য
বাস্তু ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বাঁশির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় বাদ্যযন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাঁশি এমন একটি বাদ্যযন্ত্র বলে মনে করা হয় যা আসক্তি, মায়া এবং পার্থিব দুঃখ থেকে মুক্তি দেয়। এর সঙ্গীত আত্মাকে শান্ত করে এবং মনকে একাগ্র করে। বাঁশি বায়ু উপাদানের সঙ্গে যুক্ত, যা নেতিবাচক শক্তি অপসারণ এবং ইতিবাচক কম্পন তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি সাতটি সুরের প্রতীক, যা জীবনের সাতটি প্রধান ক্ষেত্রে (স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, সম্পদ, কেরিয়ার, মানসিক শান্তি, সমাজ এবং আত্মা) ভারসাম্য বজায় রাখে।

বাঁশি রাখলে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়
যদি আপনি আর্থিক সংকটে ভোগেন, তাহলে বাঁশি রাখা আপনার জন্য একটি উপকারী সমাধান হতে পারে। উত্তর দিকে বাঁশি রাখলে কেরিয়ার এবং চাকরিতে উন্নতি হয়। বাড়ির লকার রুমে বা আলমারির উপরে বাঁশি রাখলে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায় ক্ষতি হলে দোকান বা অফিসের মূল দেওয়ালে বাঁশি ঝুলানো শুভ। বাঁশি থেকে নির্গত কম্পন আপনার পরিবেশের আর্থিক বাধা দূর করে এবং নতুন আর্থিক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়।

Advertisement

পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং উত্তেজনা থেকে মুক্তি
অনেক সময় ঘরে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা, মারামারি বা মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাঁশি একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান দিতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একজোড়া বাঁশি রাখলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায়।
পরিবারের প্রধান কক্ষে বাঁশি রাখলে ঘরে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাদের ঘরে বাঁশি রাখলে তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে সাহায্য করে এবং তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা আসে। এই প্রতিকার ঘরের পরিবেশ হালকা করে এবং মানসিকভাবে শান্তি বোধ করায়।

বাঁশি থেকে ইতিবাচক শক্তি পাওয়া যায়
বাঁশির নেতিবাচকতা দূর করার এবং শক্তির স্তর বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি নেতিবাচক ভাব দূর করে এবং ইতিবাচক ভাব সক্রিয় করে। ফেং শুই অনুসারে, ঘরের প্রবেশপথে বাঁশি রাখলে বাইরে থেকে আসা নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ধ্যান, যোগা বা উপাসনার স্থানে বাঁশি রাখলে সাধনা আরও গভীর হয় এবং মানসিক ভারসাম্য তৈরি হয়।
এটি ঘরকে আধ্যাত্মিক শক্তি কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে, সদস্যদের চিন্তাভাবনাকে ইতিবাচক করে তোলে।

বাঁশি রাখার সঠিক দিক এবং পদ্ধতি
বাঁশি থেকে পূর্ণ সুবিধা পেতে হলে, এটি সঠিক দিকে এবং নিয়ম অনুসারে রাখুন।

বাঁশি কোথায় রাখবেন?

  • প্রধান দরজা: দরজার উপরে বাঁশিটি তির্যকভাবে ঝুলিয়ে রাখুন, উভয় প্রান্তে লাল ফিতা বেঁধে দিন।
  • সিন্দুক বা লকারের কাছে: বাঁশিটি আড়াআড়িভাবে রাখুন এবং এটির পুজো করুন।
  • শোবার ঘর (স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধির জন্য): হেডরেস্টের উপরে দেয়ালে ক্রুশ আকৃতির দুটি বাঁশি ঝুলিয়ে দিন।

বাঁশি রাখার সময় ভুল করবেন না:

  • ভাঙা বা ফাটা বাঁশি কখনও রাখবেন না।
  • পুজোর স্থানে বাঁশি রাখবেন না।
  • মাটিতে বা নোংরা জায়গায় বাঁশি রাখবেন না।
  • প্রতি ৬ মাস অন্তর বাঁশিটি পরিষ্কার করুন এবং পুরনো হয়ে গেলে এটি বদল করুন।

কোন ধরণের বাঁশি রাখবেন?

  • ধাতব বাঁশি (পিতল বা তামার): ব্যবসায়িক লাভ এবং চাকরির জন্য শুভ।
  • কাঠের বাঁশি: গৃহ শান্তি, পারিবারিক সম্প্রীতি এবং ভালোবাসার জন্য ভালো।
  • ঐতিহ্যবাহী বাঁশের বাঁশি: ধর্মীয়, আধ্যাত্মিক এবং শক্তির ভারসাম্যের জন্য সবচেয়ে ভালো।
  • আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে বাঁশিটি বেছে নিতে পারেন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করতে পারেন।

বাঁশি এবং শাস্ত্রে এর উল্লেখ
বাস্তুশাস্ত্রের পাশাপাশি পুরাণেও বাঁশির গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে যে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির শব্দ এতটাই মধুর ছিল যে পশু, পাখি, মানুষ সকলেই মুগ্ধ হয়ে যেত। একইভাবে, যদি ঘরে বাঁশি রাখা হয় এবং ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করা হয়, তাহলে নেতিবাচকতা দূর হয় এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।

(Disclaimer - এই খবরটি কেবল আপনাকে সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ তথ্যের সাহায্য নিয়েছি। আজতক বাংলা  এটি নিশ্চিত করে না।)

Read more!
Advertisement
Advertisement