Advertisement

Maa Saraswati Birth Story: কী ভাবে জন্ম হয় সরস্বতীর? বসন্ত পঞ্চমীতেই কেন পুজো? জানুন

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী। এই দিন দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়। এই দিনে মা সরস্বতীর পুজো কেন করা হয় এবং বসন্ত পঞ্চমীর তাৎপর্য কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক...

 এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয় এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Feb 2022,
  • अपडेटेड 11:37 AM IST
  • আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী
  • এই দিন দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়
  • এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়

বসন্ত পঞ্চমীর উৎসব চলতি বছর  ৫ ফেব্রুয়ারি  উদযাপিত হবে, এই উৎসবটি প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক মা সরস্বতী কীভাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন...

 

 

আরও পড়ুন

মা সরস্বতীর জন্ম কাহিনি
শীতের পর বসন্ত ঋতু আসে, বসন্তকে বলা হয় ঋতুর রাজা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন আমি ঋতুতে বসন্ত। এটা বিশ্বাস করা হয় যে সৃষ্টির শুরুতে, ব্রহ্মা ভগবান বিষ্ণুর আদেশে মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার সৃষ্টিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁর অনুভব হচ্ছিল কিছু একটা বাদ পড়েছে, যার কারণে চারিদিকে নিস্তব্ধতা। এরপর বিষ্ণুর পরামর্শ নিয়ে ব্রহ্মা তাঁর নিজের  কমণ্ডল থেকে জল ছিটিয়ে দিলেন। জলের কণা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এটি কম্পিত হতে শুরু করে এবং একটি বিস্ময়কর শক্তি দেখা দেয়।  এই চেহারাটি ছিল এক হাতে বীণা এবং অন্য হাত মুদ্রার ভঙ্গিতে রাখা চর্তুভুজ এক সুন্দরী নারীর। তাঁর অন্য দুই হাতে ছিল বই ও মালা। ব্রহ্মা দেবীকে বীণা বাজানোর অনুরোধ করলেন। দেবী বীণা বাজানো শুরু করার সাথে সাথে সারা বিশ্বে একটি সুমধুর ধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর প্রাণীকুল বাণী প্রাপ্ত হয়। তখন ব্রহ্মা সেই দেবী সরস্বতীকে বাক দেবী বলে ডাকলেন। মা সরস্বতী জ্ঞান ও বুদ্ধি দান করেন । তিনি বসন্ত পঞ্চমীর দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তার জন্মদিন বসন্ত পঞ্চমীতে পালিত হয়। মা সরস্বতীর বিধি-বিধান অনুযায়ী পুজো করা হয় এবং তাঁর কাছে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার বর চাওয়া হয়।

 

 

দেবীর কাছে প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের বর চান
 মা সরস্বতী বুদ্ধির সাথে সম্পর্কিত, জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত। যদি আপনার সন্তানের পড়াশোনায় ভালো না লাগে, যদি আপনার জীবনে হতাশার অনুভূতি অনেক বেড়ে যায়, তাহলে আপনাকে বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর পুজো করতে হবে। মায়ের আশীর্বাদে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সফল হবেন। বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর আরাধনা করলে বুদ্ধি ও জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে স্নানেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। এবার বসন্ত পঞ্চমী পুজো হচ্ছে ৫ ফেব্রুয়ারি। বসন্ত পঞ্চমীর আগমনে শুরু হয় বসন্ত ঋতু।

Advertisement

আরও পড়ুন:  বসন্ত পঞ্চমীতে অবশ্যই করুন এই ১০ কাজ, কাটবে গ্রহের দোষ

আরও পড়ুন: রাশি অনুযায়ী মা সরস্বতীকে এভাবে নিবেদন করুন কলম, সাফল্য নিশ্চিত

বসন্ত পঞ্চমীর আগমনে শুরু হয় বসন্ত ঋতু
 বসন্ত পঞ্চমীর দিনটি জ্ঞানের দেবী সরস্বতীকে উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে মা সরস্বতী  জ্ঞান ও বাক শক্তির রূপ হিসেবে পূজিত হন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর পুজো করলে বুদ্ধি ও জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনে স্নানেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করা হয়। 

 

 

বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজো কেন করা হয়? 
বসন্ত পঞ্চমী  শ্রী পঞ্চমী, সরস্বতী পঞ্চমী, ঋষি পঞ্চমী নামেও পরিচিত। এই দিনে মা সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। ঋগ্বেদ অনুসারে, ব্রহ্মা তাঁর নিজের সৃষ্টিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। চারিদিকে নিস্তব্ধতা। তারপর তিনি তার কমন্ডল থেকে জল ছিটিয়ে দিলেন, যার ফলে একটি চতুর্ভুজা মহিলা তার হাতে বীণা নিয়ে হাজির হলেন। ব্রহ্মার আদেশে, দেবী বীণার উপর একটি সুমধুর সুর বাজিয়েছিলেন, যা বিশ্বকে শব্দ ও বাণী প্রদান করেছিল। এর পরে ব্রহ্মা  দেবী সরস্বতীর নাম রাখেন, যিনি সারদা এবং বাগদেবী নামেও পরিচিত। তাই বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর পুজো করা হয়।

 

 

মা সরস্বতীর পুজো করুন এভাবে
- এই দিনে হলুদ, বাসন্তী বা সাদা কাপড় পরুন। 
-পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে পুজো শুরু করুন।
- দেবী সরস্বতীকে একটি হলুদ কাপড় বিছিয়ে তার উপর স্থাপন করুন। এরসঙ্গে  রোলি,  জাফরান, হলুদ, চাল, হলুদ ফুল, হলুদ মিষ্টি, মিশ্রি, দই,সুজি ইত্যাদি প্রসাদ আকারে রাখুন। 
-ডান হাত দিয়ে দেবী সরস্বতীকে সাদা চন্দন এবং হলুদ ও সাদা ফুল অর্পণ করুন।
- সবচেয়ে ভালো হবে জাফরান মিশ্রিত খির ভোগ দিলে। 
- হলুদের মালা সহযোগে  মা সরস্বতীর মূল মন্ত্র, ওম সরস্বত্যায় নমঃ জপ করা ভাল হবে। 
-  পুজোয় কালো ও নীল কাপড় ব্যবহার ভুলেও করবেন না। শিক্ষায় কোনো বাধা থাকলে এই দিনে বিশেষ পুজো করলে তা সংশোধন করা যায়।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement