
'ধর্ম হোক যার যার, বড়মা সবার'। বড়মার খ্যাতি বর্তমানে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে জাগ্রত বড়মা (Boroma)। এক অমোঘ টানে হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় জমান এক ঝলক শুধু বড়মাকে দেখার জন্য। অনেকে আবার মনোবাসনা পূরণ করার জন্য গঙ্গাস্নান করে প্যান্ডেলে দণ্ডি কাটেন। কালীপুজোর পরে, ২৪ অক্টোবর বড়মার প্রতিমা নিরঞ্জন। তবে এখনও সাধারণের জন্য বন্ধ মন্দিরের দ্বার। কবে খুলবে? জেনে নিন সব তথ্য।
পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ কালী মন্দিরগুলির মধ্যে, গত কয়েক বছর ধরে বড়মার মন্দিরের নাম খুব পরিচিত। যে কোনও অমাবস্যা তিথি তো বটেই, এছাড়াও প্রায় রোজই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ে এই মন্দিরে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রয়েছেন মন্দিরের কালী মা। বিশ্বাস অনুযায়ী, মন থেকে ডাকলে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। কালীপুজো শেষ। এদিকে বড়মার মন্দিরেআরও এক বড় পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
নৈহাটির বড়মা
নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। বড় কালী সমিতি ট্রাস্টের কালীপুজোই আসলে বড়মার পুজো বলে পরিচিত।
বড়মার মন্দির কেন বন্ধ?
১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর বন্ধ বড়মার মন্দির। বার্ষিক পুজো উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। ২৬ অক্টোবর থেকে পূর্ব নির্ধারিত সময় মতো মন্দিরে পুজো দেওয়া যাবে। এছাড়াও বার্ষিক পুজো উপলক্ষে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর মন্দিরে বসে প্রসাদ গ্রহণ বন্ধ থাকবে। ৩ নভেম্বর থেকে পুনরায় মন্দিরে বসে প্রসাদ গ্রহণ শুরু হবে পূর্ব নির্ধারিত সময় মতো।
আরও পড়ুন: ২০২৬-এ রাশিচক্র পাল্টাবে রাহু! ৪ রাশির জীবনে সুখের বন্যা বইবে, কে কে লাকি?
বড়মার বার্ষিক পুজো
কালীপুজোর সময় প্রতি বছরই মূল মন্দিরের পুজো বন্ধ থাকে। সেই সময় মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ ও কাজ হয়। মন্দির রং হয়। এছাড়াও মায়ের অঙ্গরাগ হয়। ২৯ অক্টোবর বড়মার মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিন মায়ের প্রতিষ্ঠা পুজো হয়।